মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য নিয়োগ নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে দাতা সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনৈতিক লেনদেনে আর্থিক লাভবান হয়ে অধ্যক্ষ দাতা সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ফলে ভাগ্যকুল এলাকায় এ নিয়ে একটি পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় রফিকুল আলম পাপ্পু সরদার, আজিজুল আকন চঞ্চল, ওহাব সারেং ও গোবিন্দ বর্মণ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য দাতা সদস্য নিয়োগ হয়। চলতি বছর ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য নিযুক্ত করতে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে নোটিশ বোর্ডে সপ্তাহখানেক নোটিশটি রেখে কৌশলে নোটিশটি সরিয়ে ফেলেন এবং পরে গোপনে দাতা সদস্য নিয়োগ করেন। মাসখানেক নোটিশ থাকার নিয়ম থাকলেও বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে দাতা সদস্য নিয়োগের কোনো নোটিশ ছিল না। ফলে বঞ্চিত হওয়া একাধিক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি দাতা সদস্য নিয়োগের জন্য পুনরায় নোটিশ দেওয়ার আহ্বান জানালেও অধ্যক্ষ কোনো উদ্যোগ নেননি।
স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্রে জানা গেছে, দাতা সদস্য হওয়ার জন্য গত ২৯ জুলাই নোটিশ দেন অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান। নোটিশে দাতা সদস্য হওয়ার শেষ সময় উল্লেখ করা হয় ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। এ বছর আটজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি দাতা সদস্য হয়েছেন। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেন। এতে সর্বমোট এক লাখ ৬০ হাজার টাকা তহবিলে জমা হয়েছে। এ বিষয়টি ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ জানেন না বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, তাকে ও স্কুল শাখার অভিভাবক সদস্য মিজান পাঠানকে দাতা ভোটার নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়নি। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তার ঝগড়াও হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান তালুকদার বলেন, দাতা সদস্য হওয়ার জন্য নোটিশে উল্লেখ করা তারিখের এক মাস ১৯ দিন পর কিছু ব্যক্তি দাতা সদস্য হওয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। কিন্তু নির্দেশনার শর্তাবলিতে সুযোগ না থাকায় তাদের আগামী বছর যোগাযোগ করতে বলা হয়। এর পর থেকেই তারা দাতা সদস্য নিয়োগে অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
অধ্যক্ষ বলেন, দাতা সদস্য নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। জেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্নিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।