ময়মনসিংহের গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও হিসাবরক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজটির অফিস সহকারী আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বরখাস্ত করা হয় নোমানকে।
কলেজটির অফিস সহায়ক রওশন আরার প্রভিডেন্ড ফান্ডের চেক বই কলেজ অফিসের আলমারি থেকে হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজ করেও না পেয়ে চেক হারানোর ঘটনায় ২৪ আগস্ট গৌরীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন রওশন আরা। পরে চেক বই হারানোর বিষয়টি গৌরীপুর কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও অবগত করেন তিনি। তবে ব্যাংকে গিয়ে রওশন আরা জানতে পারেন, তার প্রভিডেন্ড ফান্ডের হিসাব থেকে কলেজের অধ্যক্ষ ও হিসাবরক্ষকের স্বাক্ষরে চার ধাপে ৪৬ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
ওই অবস্থায় চেক জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের ঘটনা রওশন আরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। এ ঘটনায় শনিবার তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় কলেজের পক্ষ থেকে। তদন্তে চেকে স্বাক্ষর জাল করে টাকা তোলার ঘটনায় অফিস সহকারী আবদুল্লাহ আল নোমানের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। নোমান তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের বাটুয়াদী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটি অফিস সহকারী নোমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।