জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার উদ্দীন আর নেই। শনিবার বেলা একটার দিকে আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি লিল্লাহি ওয়া ইন্ন ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি আফসার আহমদ নামে সমধিক পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তিনি শনিবার যশোর থেকে বিমানে ঢাকায় ফেরার পথে অসুস্থ্যবোধ করেন। তিনি ঢাকায় নেমে নিজেই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যান। সেখানে বেলা একটার দিকে আকস্মিক হার্ট এ্যাটাকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি স্ত্রী, ১ কন্যা অসংখ্যা শিক্ষার্থী-সহকর্মী এবং অগণিত গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শনিবার বাদ এশা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জামসা গ্রামে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ব্যাচের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ খোলা হলে তিনি এ বিভাগে যোগদান করেন। অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান, চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, কলা ও মানবিকী অনুষদের নির্বাচিত ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সাহিত্য ও সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে সুখ্যাতি অর্জন করে ছিলেন।
অধ্যাপক ড. আফসার আহমদের আকস্মিক প্রয়াণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক ড. আফসার আহমদের অকাল প্রয়াণে দেশ, জাতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বিশ্ব নাট্যজগতে বিশেষ করে বাংলাদেশের নাট্যজগতে তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সাহিত্য, সাংস্কৃতিক জগতে তার জ্ঞান এবং প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ হয়েছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডিন এবং পরবর্তী সময়ে উপ-উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা এবং ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার অবদান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তিনি কর্মের মধ্যদিয়ে অমর হয়ে থাকবেন।