জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ সমাহিত করা হয়েছে।
এরআগে সকাল সাড়ে নয়টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তাঁর দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাযায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি, ছাত্র ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা অংশগ্রহণ করেন।
নামাজে জানাযার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম প্রয়াত সাবেক উপাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। উপাচার্যের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং অন্যান্য শিক্ষক-অফিসাররা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, অর্থনীতি বিভাগ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরাম প্রয়াত উপাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
জানা গেছে, আগামী ২৩ আগস্ট রাজধানীর শান্তিনগরে প্রয়াত অধ্যাপক ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের নিজ বাসভবনে বাদ মাগরির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান গত শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ড. মুস্তাহিদুর রহমান ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২০ মার্চ থেকে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০ মার্চ পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
প্রফেসর মুস্তাহিদুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য ।
ইউজিসি চেয়ারম্যান মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।