বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশনরত শিক্ষকদের বিষয়ে অদ্যাবধি কোনও মন্তব্য করেননি গণশিক্ষামন্ত্রী মো: মোস্তাফিজুর রহমান। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের’উদ্যাগে এই অনশন কর্মসূচি দাবী না মানা পর্যন্ত চলবে বলে জানা যায়। মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দৈনিকশিক্ষাকে জানান, মন্ত্রী ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। গণশিক্ষা সচিবও কোনো কথা বলতে নারাজ। যদিও কোনো কোনো গণমাধ্যম গণশিক্ষা মন্ত্রীর বরাত দিয়ে আান্দোলন সম্পর্কে নেতিবাচক বক্তব্য প্রকাশ করছে।
জানা যায়, বেতন বৈষম্য নিরসনের জন্য ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষকরা। বর্তমানে তাদের বেতন গ্রেড ১৪ তম রয়েছে। তারা ১১ তম গ্রেডে উন্নীতর জন্য আমরণ অনশন করছেন। প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
অনশনকারী শিক্ষকরা জানান, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ।
এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এই বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে ( মূল বেতন ১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।