জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফল নিয়ে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। উপস্থিত থাকলেও অনেক পরীক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে ফেল করানো হয়েছে। ভালো পরীক্ষা দিয়েও আশানুরূপ ফল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক পরীক্ষার্থী। ফলে অসঙ্গতি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগী। দ্রুত এসব ভুল সংশোধন করা না হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তারা।
ঈদের আগে গত ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাসের হার ছিল ৭২ শতাংশ। গতকাল সোমবার এ পরীক্ষার সমন্বিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত এ ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সারা দেশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তেজগাঁও কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ইকবাল হাসান। তিনি জানিয়েছেন, অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের ফলে তাকে ‘অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার’ বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। তার কলেজে অনেক শিক্ষার্থীকে এ বিষয়ে গণহারে এফ গ্রেড দেয়া হয়েছে। খাতা দেখায় অসঙ্গতির কারণেই এমন ফল বলে তিনি দাবি করেন।
চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজের মো. ফরহাদ জানান, ‘ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে তাকে ফেল দেয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার্থীর দাবি কোনোভাবেই তার ফেল করার কথা ছিল না।
একই কলেজের আফরিন সুলতানা বলেন, তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড’ বিষয়ে ফেল করেছেন। অথচ তিনি এ বিষয়ে খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন।
চাঁদপুরের পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন উম্মে হাবিবা। সবগুলো বিষয়ে ভালো জিপিএ পেলেও ‘রিসার্চ মেথোডোলজি’ বিষয়ে ফেল করেছেন তিনি। সব পরীক্ষায় অংশ নিলেও ‘ওয়েস্টার্ন লিটারেরি থিওরি’ বিষয়ের পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে মুহাম্মদ আলী আনছারকে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত এসব ভুল সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ফলের অসঙ্গতি দূর করা না হয়ে তারা আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন।