বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি না করলে আমরণ অনশন ও সচিবালয় ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মোড়ল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন-সংগ্রামের পরও আমাদের দাবিটি উপেক্ষিত। মাত্র ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষক এমপিওভুক্তির সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া না হলে সচিবালয় ঘেরাও করে আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
মো. মনিরুজ্জামান মোড়ল আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত ডিগ্রি কলেজগুলোতে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারা দেশের ৫ হাজার ৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক জনবলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধার বাইরে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ তা আমলে নেয়নি।
একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে অন্যান্য কামিল ও সদ্য সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের একাধিক নির্দেশনা, শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত নবম ও দশম সংসদের স্হায়ী কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এ বর্ণিত উচ্চশিক্ষার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্ত করা যৌক্তিক। আমরা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষাবান্ধব সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওভুক্তি চাই।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি নাজমুল হুদা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম আরা সুলতানা সুমী, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আজিম উদ্দীন সরদার, মোসলে উদ্দীন রিফাত, মো. হামিদুর রহমান, মাসুদ করিম, মোকলেসুর রাহমান মনি, ইবনে হাসান রনিসহ ঢাকা মহানগর ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দুইশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।