এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওভুক্তির দাবি তুলেছন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। দাবি মানা না হলে ঈদের পরে ‘বৃহত্তর আন্দোলন' করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা জানান, গত বছরের মাঝামাঝি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে কর্মরত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ রাখা হয়নি। এরফলে এমপিও বঞ্চিত হয়েছেন ২০৩টি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে কর্মরত সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক। অথচ মাদরাসা জনবল কাঠামোতে মাস্টার্স সমতুল্য কামিল পর্যায় পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষকরা বলেন, সাড়ে তিন হাজার শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে বছরে ১০৪ কোটি টাকা প্রয়োজন। খরচের খাত খুজে না পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফিরিয়ে দেয়া হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে ডিগ্রি পাসকোর্স তুলে দিয়ে অনার্স মাস্টার্স কোর্স চালুর কথা রয়েছে। বর্তমানে অনার্স কোর্সেই বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
শিক্ষকরা আরও জানান, জটিলতা সৃষ্টির পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কর্মকর্তার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ সমূহে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই। পরে গত ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিও দেয়ার আবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও আজও সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই, এমপিওভুক্তির ঘোষণা দাবি করেছেন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা। শিক্ষকরা আরও জানান, ‘এমপিওভুক্তির ঘোষণা না এলে ঈদের পরে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক নেকবর হোসাইন, সদস্য সচিব মো. মোহরাব আলীসহ বিভিন্ন বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকরা।