অনুপস্থিত থেকেও বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকায় এক মাদরাসা শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তিনি ওই মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্ত্রী। অভিযোগটি উঠেছে উপজেলার খালিশা খুটামারা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা ওয়াহিদ নাছরিনের বিরুদ্ধে।
সভাপতির স্ত্রী হওয়ায় কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতনভাতা তুলছেন তিনি। শিক্ষিকার অনুপস্থিতের বিষয়টি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর দৈনিক শিক্ষাডটকম ও ১ অক্টোবর দৈনিক আমাদের বার্তারয় সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা প্রশাসন। এ বিষয়ে ওই মাদরাসা সুপারের ব্যাখ্যা তলব করেছে জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। গত ৩ অক্টোবর সুপার মাদরাসার সুপার আব্দুর রশিদের ব্যাখ্যা তলব করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিকের পাঠানো চিঠিতে, কেনো ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বা কি কারণে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে সুপারের কাছে। শোকজ নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে মাদরাসা সুপারকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
জানা যায়, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর রুস্তম আলী ও তার স্ত্রী মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা ওয়াহিদ নাছরিন রংপুরের বাসায় থাকেন। রংপুর থেকে খুটামারা দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। শিক্ষকদের অভিযোগ শিক্ষক ওয়াহিদ নাছরিন এতদূর থেকে এসে নিয়মিত মাদরাসায় ক্লাস করান না। তিনি নিয়মিত মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকেন। তবুও তিনি প্রতিমাসে এমপিও তুলছেন।
শোকজের বিষয়ে মাদরাসা সুপার আব্দুর রশিদের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক দৈনিব শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাদরাসা সুপারকে চিঠির বিষয়টি মোবাইলফোনে জানানো হয়েছে। চিঠির জবাব দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।