অবশেষে ভুল স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তির টাকা ফেরত দিলেন সেই প্রধান শিক্ষক - দৈনিকশিক্ষা

অবশেষে ভুল স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তির টাকা ফেরত দিলেন সেই প্রধান শিক্ষক

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি |

অবশেষে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে শিক্ষাথীদের মেধা বৃত্তির টাকা ফেরত দিলেন বাউফলের ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ। অভিযোগ আর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ ও তিন অভিভাবককে ডেকে পাঠান পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।

সেখানে অভিভাবক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং তিন শিক্ষার্থীর মেধা বৃত্তির টাকা ফেরত দেন। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ ও অভিভাবকদের সঙ্গে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম সোহেল রানা, পৌর সদরের নবারুন সার্ভে ইনিন্টিটিউটের পরিচালক মোল্লা কুদ্দুসুর রহমান হাসনাইন ও ওই স্কুলের ধর্মীয় শিকক মাওলানা আব্দুল ওহাব উপস্থিত ছিলেন।

 

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে পিএসসিতে সাধারণ মেধাবৃত্তি পেয়ে আরিফুল ইসলাম, আবু সালেহ রেশাদ ও আবদুল্লাহ আল কাফি নামে তিন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তিন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকে ৫ম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মেধা বৃত্তির ৮ হাজার ৭৫ টাকা করে পাওয়ার কথা থাকলেও তিনজনকে মোট ৩ হাজার ৪ শ’ টাকা দিয়ে অফিসে খরচ হয়ে গেছে জানিয়ে বাকী টাকা আত্মস্যাত করেন প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও মিলছিল না সুফল। পাঠোন্নয়ন পরীক্ষা, ফরম পূরণ ও প্রবেশপত্র বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়, শিক্ষা সফরের নামে ছাত্র ছাত্রীদেরকে পিকনিকে যেতে বাধ্য করাসহ নানাভাবে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নিয়মিত কমিটি না করে পছন্দের লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়টিকে নিজ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করারও অভিযোগ আছে প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদের বিরুদ্ধে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জাকির হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকার বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাকরা। ভবিষ্যতে এ ধরনের আর কোনো ঘটনা ঘটবে না জানিয়ে ওই শিক্ষক তার অতীত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064959526062012