অবশেষে শিক্ষক নিয়োগের আইনি ক্ষমতা পাচ্ছে এনটিআরসিএ - দৈনিকশিক্ষা

অবশেষে শিক্ষক নিয়োগের আইনি ক্ষমতা পাচ্ছে এনটিআরসিএ

রুম্মান তূর্য |
অবশেষে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের করার আইনি ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত সাত বছর এ সংস্থাটি শিক্ষক পদে নিবন্ধিত প্রার্থীদের সরাসরি নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব থাকলেও এ কাজের কোনো আইনি ক্ষমতা ছিলো না। এনটিআরসিকে এই ক্ষমতা দিতে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। সংশোধিত আইনের খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। কেবিনেটে অনুমোদন, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর তা বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এনটিআরসিএর মূল দায়িত্ব ছিলো শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের প্রত্যয়ন বা সনদ দেয়া। সেই সনদ মানেই শিক্ষক পদে চাকরি নয়।  নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আবেদন করার যোগ্য ঘোষণা করাই ছিলো এনটিআরসিএর মূল কাজ। সেভাবেই করা হয়েছিলো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০০৫। কিন্তু ওই আইনে শিক্ষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার কোনো ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দেয়া হয়নি। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম ঠেকাতে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক গেজেটে এনটিআরসিএকে দেয়া হয় এন্ট্রি লেভেলের (সহকারি শিক্ষক, প্রভাষক ও মৌলভী) শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত ওই ক্ষমতাবলেই চারটি বড় ধাপে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। অবশেষে প্রতিষ্ঠানটিকে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা দিয়ে এনটিআরসিএ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। 
 
সূত্র বলছে, সংশোধিত আইনের খসড়ায় এনটিআরসিএকে শিক্ষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশের আইনি ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নির্বাহী বোর্ডের সদস্য পদ বাড়ানো হয়েছে। আগে এনটিআরসিএর বোর্ডে শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি থাকতেন। কিন্তু ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে এনটিআরসিএ আইন পাসের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও দুটি বিভাগে ভাগ হয়েছে। তাই এনটিআরসিএর নির্বাহী বোর্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে খসড়ায়। এছাড়া এনটিআরসিএর সচিব পদের নাম পরিবর্তন করে করা হচ্ছে পরিচালক (প্রশাসন)। বিদ্যমান আইনে এসব পরিবর্তন এনে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।  
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আইনের খসড়াটি যাচাই বাছাই করছে। তারা সব ঠিক আছে মনে করলে তা মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করবেন। আর কোনো পর্যবেক্ষণ থাকলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। ভেটিং শেষে তা বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। সংসদে বিল পাস হলে তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। 

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035061836242676