অবসর-কল্যাণের টাকা পেতে ঘুষ না দেয়ায় শিক্ষককে পেটালেন অধ্যক্ষ - দৈনিকশিক্ষা

অবসর-কল্যাণের টাকা পেতে ঘুষ না দেয়ায় শিক্ষককে পেটালেন অধ্যক্ষ

দৈনিকশিক্ষাডটকম, কয়রা |

কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা ছাড় করতে অধ্যক্ষের দাবি করা ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপককে কিল ঘুসি মেরে ঠোঁট ফাটিয়ে রক্তাক্তসহ হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে খুলনার কয়রা উপজেলা সদরের কয়রা কপোতাক্ষ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অদ্রিশ আদিত্য মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।

ভুক্তভোগী শিক্ষক ও  প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালের দিকে কয়রা কপোতাক্ষ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সদ্য অবসরে যাওয়া সহকারী অধ্যাপক দেবদুলাল তরফদার অবসরজনিত কাগজে স্বাক্ষর করানোর অধ্যক্ষ অদ্রিশ আদিত্য মণ্ডলের অফিস কক্ষে গিয়ে যান। এসময় অধ্যক্ষ কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা ছাড়ের বিষয়টি প্রক্রিয়া করতে শিক্ষকের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগে বিশ হাজার দিয়েছি অধ্যক্ষকে। ওই টাকাতেই অবসর ও কল্যাণের টাকা ছাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে অধ্যক্ষের হাত জড়িয়ে ধরি। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ আমার মুখে কিল ঘুষি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেন। অধ্যক্ষ আমার কলার ধরে টেনে তুলে পুনরায় মারপিট করতে থাকেন। এ সময় কলেজের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা এসে রক্ষার করেন। 

সহকারী অধ্যাপক দেবদুলাল তরফদার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পাওয়ার জন্য অধ্যক্ষ ও সভাপতির স্বাক্ষর নিতে ঘুরছেন। ঘুষের টাকা ছাড়া তার কাগজপত্র স্বাক্ষর হবে না বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামাল হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে জানান। কলেজের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে কলেজে হাজির হয়ে কাগজপত্র অধ্যক্ষের কাছে স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করতে বলেন। 

জানতে চাইলে কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অদ্রিশ আদিত্য মন্ডল ঘুষের টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেনম ওই শিক্ষকের কাছে বিশ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। মারধরের বিষয়ে বলেন, আমি তাকে মারধর করিনি বরং উনি আমাকে মারতে এগিয়ে আসেন এবং উচ্চস্বরে বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকেন ।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003108024597168