অবৈধ এমপিওভুক্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক রফিকুল - দৈনিকশিক্ষা

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলঅবৈধ এমপিওভুক্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক রফিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ঘুষ দিয়ে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হওয়া উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক পদটিও অবৈধ। সায়েদুজ্জামান নামক একজন শিবিরকর্মীকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকরি দিয়ে তাকে ব্যবহার করে ফেসবুক পেজ খুলে কৌশলে জামাত-বিএনপির প্রচার কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পুরনো।

ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিতে সায়েদুজ্জামান নামক এক কুলাঙ্গারকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অপকর্মে প্রতিষ্ঠানটির বরখাস্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনও জড়িত বলে স্কুলটির একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক জানিয়েছেন। রফিকুল ও নাসির দুজনই স্বীয় স্ত্রীদের উইলস স্কুলে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছেন। রফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে।

প্রতিষ্ঠানবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতসহ নানা অভিযোগে বরখাস্ত শাখা প্রধান নাসির উদ্দিন চেষ্টা করছেন ঢাকা বোর্ডের আইন শাখায় তদবির করে রেহাই পেতে। দুই মাস আগে অনুষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের আপিল কমিটিতে তদবির করেছেন নাসির উদ্দিন। পাঞ্জেরী-লেকচারসহ নোট-গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে টাকা হাতানোর কাজটি সায়েদুজ্জামান ও গ্রন্থাগারিক আসাদুজজামান খানকে দিয়ে করিয়ে থাকেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হতে মরিয়া হয়েছিলেন রফিকুল।  প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সহকর্মী তাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, তার অবৈধ  এমপিওভুক্তির খবর ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের ঘটনা সামনে চলে আসবে। এরপর কিছুটা দমে যান রফিকুল। 

শিক্ষকদের একাংশ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলছেন,  ‘রফিকুল মূলত একটি শাখার সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। সেটাকেই সহকারী প্রধান শিক্ষক নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এখন আবার ধান্দা করছেন জামাত-বিএনপিপন্থীদের দিয়ে সংগঠন করে নিজেকে রক্ষা করার।’

গত বছরের নভেম্বর মাসে ইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেনকে ‘অযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তার অপসারণ দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা। ব্যানারে লেখা ছিল,‘অবৈধ, দুর্নীতি পরায়ণ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ ও ডেপুটেশনে আর্মি প্রিন্সিপাল চাই’, ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত বিশেষ কমিটি চাই’ ইত্যাদি। মানববন্ধনে শিক্ষকরা কয়েকদফা দাবি জানান। এ দাবিগুলো মধ্য অন্যতম ছিল, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘণ করা সব পদায়ন বাতিল করতে হবে, আগের মতো সেনাবাহিনী থেকে ডেপুটেশনে অধ্যক্ষ নিয়োগ করতে হবে। 

সাধারণ শিক্ষকরা বলছেন, আমরা এখন প্রতিষ্ঠানে কোন দলাদলি চাই না। আমরা নাই ডেপুটেশনে একজন সেনা কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব পাক। তা না হলে সরকারি কলেজের কোন শিক্ষককে সরকার প্রেষণে নিয়োগ দিতে পারেন। তাও যদি না হয় তাহলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হোক। 

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036520957946777