বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির দায়ে অব্যহতি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে গ্রেফতারের দাবিতে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দাবি জানিয়ে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। পাশাপাশি মোর্শেদ হাসানকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলে দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি পৃথক জায়গায় দুই পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়
গত ১০ সেপ্টেম্বর অব্যাহতি দেয়া হয় অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে। জাতির জনক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিসহ নানা ঘটনায় শাস্তির এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এর আগের দিন অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করায় ঢাবি শিক্ষককে অব্যহতি
তবে, সুপারিশের পরও দীর্ঘদিন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অধিকাংশ সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাবি কর্তৃপক্ষের একটি অংশের রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে। জাতির জনক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রমাণ পাওয়ার পরেও অপরাধীকে রক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন প্রগতিশীল শিক্ষকরা। ব্যক্তিস্বার্থে জাতির জনকের অবমানাকারীকেও চাকরিতে কৌশলেও বহাল রাখার চেষ্টা চলছিল। তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকদের একটি অংশ।
আ্যটর্নি জেনারেল তার পারিশপত্রে সংবিধার লংঘনের তথ্য প্রমান তুলে ধরে লিখেছিলেন, ‘ অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান তাঁর লেখায় স্বাধীনতার ঘোষণা সম্বন্ধে যা লিখেছেন তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি সংবিধানের ৬ষ্ঠ তফসিলের পরিপন্থী। তিনি ১৯৭১ সনের ২৫ শে মার্চের পরে যে আন্দোলনের চিত্র এঁকেছেন তা সংবিধানের ৭ম অনুচ্ছেদে বর্ণিত বক্তব্যের পরিপন্থী। অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের বিতর্কিত লেখাটি সংবিধানের ৬ষ্ঠ ও ৭ম তপসিলে বর্ণিত তথ্যের পরিপন্থী ও ইতিহাসের বিকৃতি।’
শাস্তির সুপারিশ করে এরপর আ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, ‘এমতাবস্থায়, আমার মতে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত। সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যগণ যদি আমার সাথে একমত পোষণ করেন সেক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী থেকে অব্যাহতির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁকে পুনরায় কারণ দর্শানের নোটিশ প্রেরণ করা যেতে পারে।’