শৈশবেই জীবনের চরম বাস্তবতার মুখোমুখি শিশুরা। বাবা-মায়ের হাত ধরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো সীমান্তে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কবলে পড়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন তারা। তাদের হারিয়ে যাওয়া শৈশব ফিরিয়ে দিতে বাসের ভেতরে স্কুল গড়ে তুলেছে বেসরকারি একটি সংস্থা।
অভিভাবক ছাড়াই দিনের পর দিন মার্কিন সীমান্তে দিন কাটছে এসব শিশুদের। জীবনের এই সংকট, অনিশ্চয়তা হয়তো উপলব্ধি করতে পারছে না শিশুগুলো। তাই তো সব ভুলে গুটি গুটি পায়ে আনন্দের খোঁজে পাঠশালাতে। অন্য সব শিশুর মতোই বড় হওয়ার স্বপ্ন।
তারা বলছে, আমার এখানে এখন অনেক বন্ধু। আমি তো ভেবেছিলাম আর কোনোদিন স্কুলেই যাওয়া হবে না। এখানকার শিক্ষক আর বন্ধুরা অনেক ভালো। স্কুল আমার অনেক ভালো লাগে।
মার্কিন অভিবাসন প্রত্যাশীদের সন্তানদের জন্য 'ইয়েস ইউ ক্যান ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে স্কুলটি। মূলত শিশুদের আনন্দময় সময় উপহার দেয়াই স্কুলটির প্রধান উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ছোটবেলায় আমিও বাবা-মায়ের হাত ধরে কলোম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসি। সেসময় প্রতিনিয়ত যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, সেখানে স্কুলই ছিল আমার একমাত্র স্বস্তির জায়গা। বাচ্চাদের খুশি করাই আমাদের একমাত্র কাজ। আনন্দ ফুর্তি আর হৈ হুল্লোর করে যদি বাচ্চারা দিন কাটায়, তাহলে বাস্তবতার মাঝেই কিছুটা হলেও শৈশব উপভোগ করতে পারবে তারা।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কড়াকড়ির কারণে হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশীর কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছে শিশুদের। এতে ভীষণ মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে শিশুমনে। তাদের শৈশব ফিরিয়ে দিতে এবং শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের কাছে তাদের বাস্তবতা তুলে ধরে পরিস্থিতি মেনে নেয়ার জন্য তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতেও সাহায্য করছেন স্কুলের শিক্ষকরা।