জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুয়াতপুর জিন্নাতিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আ ন ম আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মসহ প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সে কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মাদরাসার সহকারী সুপার আব্দুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অন্য সদস্যরা এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন।
মাদরাসার শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জানান, কিছুদিন আগে মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট আ ন ম আব্দুল মান্নান বন বিভাগের অনুমতি না নিয়ে একক সিদ্ধান্তে মাদরাসা চত্বরের বেশ কয়েকটি গাছ বিক্রি করেছেন। এরপর সেই টাকা মাদরাসার অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। মাদরাসার জমি লিজের টাকাও অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে তছরুপ করেছেন তিনি।
মাদরাসার সভাপতি এনামুল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন না করা মানেই আত্মসাৎ। সুপার সেই কাজই করেছেন। কয়েক বছর ধরে তিনি মাদরাসার অভ্যন্তরীণ আয়-ব্যয়ের হিসাবও ম্যানেজিং কমিটির সভায় দেননি। এনটিআরসির সুপারিশ করা শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। এসব কারণে ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে বরখাস্ত হওয়া সুপার আ ন ম আব্দুল মান্নান বলেন, 'আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা আমি জানি। তবে ম্যানেজিং কমিটির লোকজন যে অভিযোগে আমাকে বরখাস্ত করেছেন তা মিথ্যা। আমি আদালতের আশ্রয় নেব।'