দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে এবারও সাড়া দেননি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দুই সদস্য এমএ কাশেম ও মোহাম্মদ শাহজাহান। অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল। কিন্তু তারা দুদকে হাজির হননি।
এদিন তারা আইনজীবীদের মাধ্যমে কমিশনে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। একই সঙ্গে আইনজীবীদের মাধ্যমে দুদকে লিখিত বক্তব্য দেওয়ারও অনুমতি চান। দুদক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এফডিআর করার নামে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাট, স্ত্রী ও স্বজনদের চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এছাড়া সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে গাড়ি ক্রয় ও অবৈধভাবে বিলাসবহুল বাড়ি ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বক্তব্য নেওয়া একান্ত প্রয়োজন বিধায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের আগেও এক দফা তাদের দুদকে ডাকা হয়েছিল।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এ লক্ষ্যে ১৩ ডিসেম্বর তিন সদস্যের টিমও গঠন করা হয়। অনুসন্ধান পর্যায়ে ইতোমধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু নথি অনুসন্ধান টিমের কাছে এসেছে। সেসব নথিপত্র পর্যালোচনাও হয়েছে।