শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাজস্ব খাতের আওতায় নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কোড-৭০১৬) ভবন নির্মাণের কাজে চলতি অর্থবছরে কোনো অর্থ বরাদ্দ হয়নি। এছাড়া বিগত কয়েক বছরের ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ না করায় ভোলা জেলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনের নির্মাণকাজের মধ্যে অধিকাংশ বাস্তবায়ন বন্ধ রয়েছে।
ভোলা জেলার কয়েকটি চলমান কাজ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঠিকাদারেরা কাজ বাস্তবায়ন বন্ধ রেখেছেন। জেলার লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের জি এম হাইস্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পর ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ছামাদ রবিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘৭০ লাখ টাকার কাজ শেষ করেছি। গত অর্থবছরে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এ বছরে কোনো বরাদ্দ না আসায় কোনো বিল পাইনি। তাই কাজ বন্ধ রেখেছি।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিমান্যু দে বলেন, ‘ভেবেছিলাম ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ভবনে স্কুলের কার্যক্রম শুরু করতে পারব, কিন্তু ঠিকাদার কাজের বিল না পাওয়ায় কাজ বাস্তবায়ন বন্ধ রেখেছেন। কবে কাজ শেষ হবে আর কবে আমরা নতুন ভবনে স্কুলের কার্যক্রম শুরু করতে পারব তা বোঝা যাচ্ছে না।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভোলা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজস্ব খাতের আওতায় নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (কোড-৭০১৬) আওতায় ভোলা জেলায় ৫০-৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় এবং
বিগত কয়েক বছরের ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ না করায় ভোলা জেলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণকাজের মধ্যে অধিকাংশই বাস্তবায়ন বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা। তিনি আরো জানান, প্রতি মাসে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদনের সঙ্গে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়ে থাকে।