বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদারাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এন্ট্রি লেভেলের ৫৪ হাজারের বেশি পদে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন গ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী জুন মাসের শুরুতে এ অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করার পরিকল্পনা করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদন বাবদ প্রার্থীদের খরচ হয়েছে ৫২ কোটি টাকারও বেশি। এখন পর্যন্ত প্রতিটি পদে গড়ে ৯৬টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। একজন প্রার্থী একাধিক আবেদন করতে পারেছেন। প্রতিদিন তিন লাখের বেশি আবেদন জমা পড়ছে বলে জানা গেছে। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের এ আবেদন সংখ্যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড।
আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, মোট আবেদন সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের সময় বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই বলেও জানা গেছে।
জানতে চাইলে শনিবার বিকেলে দৈনিক দৈনিক শিক্ষাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন। তিনি জানান, বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। প্রার্থীরা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। একেকজন প্রার্থী ৭০-৮০ আবেদনও করছেন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৫২ লাখ ৪৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। আপাতত আবেদনের সময় বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা এনটিআরসিএর নেই। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও কোন নির্দেশনা নেই।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আবেদন গ্রহণ শেষ হবে ৩০ এপ্রিল। পরিকল্পনা অনুসারে আমাদের তা প্রক্রিয়া করতে একমাসের মত সময় লাগবে। এসময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া করে প্রার্থীদের শিক্ষক শূন্যপদগুলোতে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। আবেদন গ্রহণ শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যে সুপারিশ প্রক্রিয়া শেষ করা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এদিকে দৈনিক আমাদের বার্তার পক্ষ থেকে এনটিআরসিএর অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আবেদন গ্রহণ শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যেই সুপারিশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দু একদিন সময় বেশি লাগতে পারে। সে হিসেবে জুন মাসের শুরুতে এ অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে আরও জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ কোন কোন দিন বেশি আবেদন জমা পড়েছে। প্রায় ৬০ লাখ আবেদন জমা পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ১৯ এপ্রিল আবেদন সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ ৫০ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। ২১ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত এ পদগুলোতে ৪৭ লাখ ১২ হাজার ৮৮৫টি আবেদন জমা পড়েছে। আর ২২ এপ্রিল রাত পর্যন্ত সে সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫২ লাখ ৪৬ হাজারে। ৩য় দফায় শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ রেকর্ড পরিমানে। এর আগে এতপদে একসাথে নিয়োগ দেয়া হয়নি। আর সাড়ে ৫২ লাখ আবেদন সংখ্যাও রেকর্ড। এত আবেদন আগে পরেনি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের শেষে দেয়া ৪০ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে মোট আবেদন পড়েছিল ৩১ লাখ।
জানা গেছে, প্রার্থীরা গত ৪ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন।
তৃতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগে ৫৪ হাজার ৩০৪টি পদের মধ্যে ৪৮ হাজার ১৯৯ টি এমপিওভুক্ত শূন্যপদ। ননএমপিও পদ আছ ৬ হাজার ১০৫ টি। এগুলোর মধ্যে ২ হাজার ২০৭ টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থী আবেদনের সুযোগ পাবেন। বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ পদগুলোতে ৪৭ লাখ ১২ হাজার ৮৮৫টি আবেদন জমা পড়েছে।
জানা গেছে, http://ngi.teletalk.com.bd অথবা www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। অনলাইনে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। ফরম সাবমিটের পর প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে টাকা জমা দেয়াসহ পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হবে। আবেদনের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন এমপিও নীতিমালা জারির আগে যারা সনদ অর্জন করা প্রার্থীরা যাদের বয়স ৩৫ এর বেশি হয়ে গেছে তারাও আবেদনের সুযোগ পাবেন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনডেক্সধারী যে সকল শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী কর্মরত আছেন তারাও অনলাইনে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তাদের নিয়োগের আবেদনসমূহ অন্যান্য প্রার্থীদের ন্যায় জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক নিস্পত্তি করা হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।