যশোরের মণিরামপুরের পলাশী আদর্শ কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাডমিট কার্ড দিতে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে৷ পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে এ টাকা আদায় করছেন। টাকা ছাড়া প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
শিক্ষকদের দাবি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার (ফাইজার) টিকা দেওয়ানোর সময় ইউএনও অফিসে কলেজকে টাকা দিতে হয়েছে। সেই টাকাসহ প্রবেশপত্র বাবদ ১৫০ টাকা করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে।
আগামীনবৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। পলাশী আদর্শ কলেজ থেকে থেকে এবার তিন বিভাগে ১৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনতে কলেজে যায় শিক্ষার্থীরা। টাকা না দিলে প্রবেশপত্র আঁটকে দেওয়া হয়।
মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী খলিলুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, মঙ্গলবার কলেজে উপস্থিত ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সন্তোষ কুমার মণ্ডল। সকালে কলেজে গিয়ে প্রবেশপত্র না পেয়ে অধ্যক্ষর সাথে মোবাইল ফোনে তার কথা হয়। এ সময় ওই পরীক্ষার্থী টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, টাকা কেনো নিচ্ছি সেটা উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা বলতে পারবেন। পারলে সেখানে গিয়ে জেনে এসো।
এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যক্ষের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে প্রবেশপত্র বাবদ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কলেজের শিক্ষক মোশারেফ হোসেন।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ানোর সময় কলেজের কিছু খরচ হয়েছিলো। প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় সেই খরচ ধরে আমরা ১৫০ টাকা করে চেয়েছি। উপজেলায় টিকা দেওয়ানোর সময় যশোর থেকে যারা টিকা দিতে আসে গাড়িতে করে এসেছেন। তাদের যাতায়াত খরচসহ সব আয়োজন করতে খরচ হয়েছে। ইউএনও বলেছেন, এ খরচ কলেজকে বহন করতে হবে।
শাওন হোসেন নামে কলেজের এক পরীক্ষার্থী জানান, আমরা টাকা চাওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে মোবাইলে জানিয়েছি। তিনি লিখিত অভিযোগ করতে বলেছেন।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কলেজে টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে। আমি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যারা উপজেলায় টিকা দিতে এসেছেন তাদের মাইক্রোভাড়াসহ সব আয়োজন করে দিতে হয়েছিলো কলেজদেরকে। এ বিষয়টা আমি জানি।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রবেশপত্র বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।