কড়া রোদে অ্যাসেম্বলিতে থাকাকালে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন রাজধানীর হলি ক্রস গার্লস হাইস্কুলের এক ছাত্রী। মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লুকোচুরির অভিযোগ এনেছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের দাবি দীর্ঘ সময় অ্যাসেম্বলিতে দাঁড় করানো হয়। চৈত্রের রোদে অ্যাসেম্বলিতে কম সময় রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন অভিভাবকরা।
রোববার সকালের এ ঘটনার পরপরই হাসপাতালে নিলে ডাক্তার নবম শ্রেণির এই ছাত্রীটিকে মৃত ঘোষণা করেন। সরকারের কোনো নিয়ম-নীতি না মেনে চার্চ পরিচালিত স্কুলের জন্য আলাদা নিয়মে পরিচালিত হয় স্কুলটি।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম শ্যারন সুসান্না মল্লিক। তিনি প্রতিষ্ঠানটির নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
তবে, ছাত্রীটির পিতা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন তার কন্যা একটি বিরল রোগে ভুগছিলেন। এ বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। যেসব অভিভাবক অবহেলা ও কড়া রোদে দাঁড় করানোর অভিযোগ করেছেন তার সঙ্গে মৃত ছাত্রটির পিতা একমত নন।
তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম জানান, ওই শিক্ষার্থী আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। বিষয়টি তার পরিবারও জানত। ফলে সবসময় তার মা-বাবা তার সাথেই থাকতেন। রোববার সকালেও তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়ানোর পর তাদের সামনেই শ্যারন সুসান্না মল্লিক অসুস্থ হয়ে পড়ে যায়।
পরে সবাই মিলে তাকে পাশ্ববর্তী সেন্ট জন ভিয়ানি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর মরদেহটি বাসায় নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
শাহ আলম বলেন, ‘সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘটনা ঘটলেও আমরা জেনেছি বেলা ১২টার পর। শিক্ষার্থীর পরিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। ময়নাতদন্ত করতেও তারা আগ্রহী না।’
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থী তিন বছর ধরে অসুস্থ। তার চিকিৎসাও চলছিল। তারপরও সে স্কুলে আসতে চাইত এবং বাবা-মাও তাকে নিয়ে স্কুলে আসতেন। রোববার অ্যাসেম্বলিতে অজ্ঞান হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও সে অনেকক্ষণ কথা বলেছে। পরে মারা গেছে।