বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আইসিটি শিক্ষক পদে আবেদন করা প্রার্থীদের সনদ যাচাই হচ্ছে। সর্বশেষ জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা অনুসারে ছয় মাসের ডিপ্লোমা সনদধারী প্রার্থীদের আইসিটি শিক্ষক পদে প্রাথমিক সুপারিশ করা এড়াতে প্রার্থীদের তথ্য যাচাই করছে এনটিআরসিএ। আইসিটি শিক্ষক ও প্রভাষক পদে আবেদন করা প্রার্থীদের নিবন্ধন সনদ ও কম্পিউটার বা আইসিটি বিষয়ের সনদের সত্যায়িত কপি এনটিআরসিএর কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের (১০ মার্চ) মধ্যে আইসিটি শিক্ষক ও প্রভাষক পদে আবেদন করা প্রার্থীদের তথ্য এনটিআরসিএ কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। এনটিআরসিএ থেকে বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে যেসব প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক, কম্পিউটার অপারেশন বিষয়ের প্রভাষক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রদর্শক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন, তাদের নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ এবং নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় দাখিলকৃত কম্পিউটার বা আইসিটি বিষয়ক সনদের সত্যায়িত কপি আবশ্যিকভাবে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে তথ্যসহ সরাসরি এনটিআরসিএ কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য বলা হলো। নির্ধারিত ছকে প্রার্থীদের তথ্য অর্ন্তভুক্ত করে তা সরসারি জমা দিতে হবে।
নির্ধারিত ছকে প্রার্থীর রোল নম্বর ও ব্যাচ, আবেদন করা পদে নাম, প্রার্থীর নাম ও মোবাইল নম্বর, কম্পিউটার বা আইসিটি বিষয়ের ডিগ্রির নাম, মেয়াদ ও প্রতিষ্ঠানের নাম, আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানের ধরণ উল্লেখ করে পাঠাতে হবে।
নির্ধারিত তারিখের মধ্যে উভয় সনদের ফটোকপি ও ছকে চাহিদাকৃত তথ্য পাঠাতে ব্যার্থ হলে প্রার্থীদের আবেদনের নিয়োগ সুপারিশের জন্য প্রক্রিয়া করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে এনটিআরসিএ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তিতে ছয় মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিতরা আবেদন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমপিও নীতিমালা অনুসারে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হবে। তাই আমরা আইসিটি পদে আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করবো। আমরা প্রার্থীদের ১০ মার্চের মধ্যে তথ্য এনটিআরসিএতে পাঠাতে বলছি। তারা তথ্য পাঠালে তা যাচাই করে এরপর প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নীতিমালা বাইরে কাউকে প্রাথমিক সুপারিশ করতে চাচ্ছি না। তাহলে প্রার্থীরা মামলা করতে পারেন। জটিলতা এড়াতেই যাচাই করে প্রার্থী সুপারিশ করা হবে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষডটকমকে জানিয়েছেন, যাচাইয়ের খবর রিটকারী আইনজীবীরা তাদের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে টাকা আদায় করার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে ভেবে শঙ্কিত তারা।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।