রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেইট এলাকায় আততায়ীর গুলিতে নিহত কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতির পরিবার যেকোনো প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে পাশে পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুরে শান্তিবাগে প্রীতিদের বাসায় যান ড. হাছান মাহমুদ।
সামিয়ার বাবা জামাল উদ্দিন, মা হোসনে আরা ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোট ভাই সোহায়েব সামির সঙ্গে একান্তে কথা বলেন তারা। অশ্রুসিক্ত সামিকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতির মৃত্যু এত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক, মেনে নেওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এবং আমরা তাদের পাশে আছি সেটা জানানোর জন্যই আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি, যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের দল, আমাদের সরকার তাদের পাশে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রীতির ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষা দেবে, তার সাথেও আমাদের কথা হয়েছে আমরা এখান থেকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিস্তারিত জানাব।’
গত ২৪ মার্চ রাতে ঢাকার আততায়ীর গুলিতে সামিয়া আফরিন প্রীতি নিহত হওয়ার পর তার বাবা জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, তারা এ ঘটনায় কোনো মামলা করবেন না। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে প্রশ্নবিদ্ধ হয় বিচারব্যবস্থা।
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে মূল আসামি গ্রেফতার হয়েছে। একই ঘটনায় আমাদের দলের একজন নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ছাত্রী সামিয়ার পরিবার মামলা না করলেও জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী মামলা করেছেন। সেই মামলার এজাহারে প্রীতির হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ আছে। আইনানুযায়ী একই ঘটনায় দুটি মামলার প্রয়োজন নেই। মূল আসামি গ্রেফতার হয়েছে, যারা তার সাথে ছিল তারাও পুলিশের জালের মধ্যে আছে। আমরা আশা করি তারাও খুব সহসা গ্রেফতার হবে। যথোপযুক্ত বিচার করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
সরকারের কাছে সামিয়ার পরিবার কোনো সাহায্যের আবেদন করেছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সরকারের কাছে এখনো আবেদন করেনি, আমরা এ বিষয়টি দেখার জন্য আমাদের কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দিয়েছি এবং সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব করা হবে।’