বিলুপ্তি নয়, বরং আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এ তথ্য জানান।
তারা জানান, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে 'চ' ইউনিটের পরীক্ষা না থাকা নিয়ে ডিনস কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে কোনো কথা হয়নি। বরং মিটিংয়ে শুধু 'ঘ' ইউনিট বিলুপ্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মূলত উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হন, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা 'খ' ইউনিট এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা 'গ' ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি হয়ে আসছেন। এ তিন ইউনিটে পরীক্ষার পর অনুষ্ঠিত হতো সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের 'ঘ' ইউনিটের পরীক্ষা। যেটির মাধ্যমে তিনটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধু বিভাগ পরিবর্তনের জন্যই পরীক্ষা দিতেন।
গত ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির মিটিংয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে তিনটি ইউনিটে (বিজ্ঞান, কলা, ব্যবসায়) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এর সঙ্গে চারুকলা অনুষদভুক্ত 'চ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বিলুপ্ত করা হবে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এতে এই অনুষদে কীভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।
অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, উপাচার্য পরিস্কার করেছেন, 'চ' ইউনিট নিয়ে কোনো কথা হয়নি। আমিও শুরু থেকে বলে আসছি, মিটিংয়ে শুধু 'ঘ' ইউনিট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উপাচার্য যখন বলেছেন, তিনটি ধারায় পড়ানো হয় অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য- এগুলোতেই পরীক্ষা হবে। এখন এটি মনে হতে পারে 'ঘ' এবং 'চ' ইউনিটে পরীক্ষা হবে না। আসলে তা নয়, 'চ' ইউনিট বিলুপ্তির আওতায় পড়বে না।
তিনি বলেন, যেহেতু 'চ' একটি বিশেষায়িত ইউনিট এবং সাধারণ পাবলিক পরীক্ষায় এ বিষয় নেই, সেহেতু এই ইউনিটের প্রসঙ্গ সেখানে মিটে গেছে। এই ইউনিটের পরীক্ষা বরাবরের মতোই নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, 'চ' ইউনিট নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। এটি একটি সৃজনশীল ইউনিট ও স্বতন্ত্র ধারা। এই ইউনিটের প্রয়োজনীয়তা সর্বজনবিদিত।
পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোনো সংস্কার কিংবা পরিবর্তন আসবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সবাইকে জানানো হবে।