কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৩ মে, শুক্রবার। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তিনি কলকাতার যাদবপুরে মৃত্যুবরণ করেন। যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা যান সুকান্ত ভট্টাচার্য। ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও কবির পিতৃপুরুষের নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে।
কবির বাবা নিবারণ ভট্টাচার্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে বইয়ের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার সুবাদে কবির পরিবারকে কলকাতাতেই থাকতে হতো। দীর্ঘদিন কবির পরিবার কলিকাতায় অবস্থান করার কারণে তার পূর্ব পুরুষের ভিটা বেদখল হয়ে যায়। পরে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর কবির বাড়ী দখলমুক্ত হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে জেলা পরিষদ কবির পৈত্রিক ভিটায় একটি অডিটরিয়াম ও লাইব্রেরী স্থাপন করে। এখানে কবির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছর মার্চ মাসে প্রথম সপ্তাহে একটি মেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু কোন বছরই বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় না। এ ব্যাপারে অনেকই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কর্মকার বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে কবি সুকান্তকে তুলে ধরতে হলে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কবির জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা উচিত্। শুধু বাত্সরিক একটি মেলা করে বাঙ্গালী জাতির কাছে কবি সুকান্ত্মকে তুলে ধরা সম্ভব নয়। কবি সুকান্ত্মকে বাঙ্গালী জাতির কাছে তুলে ধরতে হলে সরকারি ভাবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।
ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।