আঠারো মাস পর আজ সকাল ১০টা থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলসমূহ। টিকাধারী আবাসিক শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে স্ব-স্ব হল কর্তৃপক্ষ। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকায় হলের নানাবিধ সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। এসব সারাতে এখন ব্যস্ত হল প্রশাসন। সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় হল খুলতে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের বিদ্যুৎ লাইন, পানির লাইন, চটে যাওয়া দেওয়াল প্লাস্টার, মোজাইক পাথরে করা ফ্লোর পরিষ্কারসহ অন্যান্য সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা। হলের প্রয়োজনীয়তাভেদে দুই থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ বরাদ্দের তিন মাসেও কাজে লাগাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারদের পরবর্তী এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজের ভলিউম অনুযায়ী তিন মাস সময় লাগার কথা। আমরা দিয়েছি এক মাস।
মৌখিকভাবে ১৫ দিনে কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা চলছে। সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় শেষ সময় নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। সবকিছু সামলে নিয়ে হল খোলার প্রস্তুতি নব্বই ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ তারেক বলেন, অল্প সময়ে অনেক বেশি চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। লোকবল অল্প থাকায় কাজ শেষ করা একটু চ্যালেঞ্জ। তবুও আমরা আগামীকালের মধ্যে সব কাজ বিশেষ করে পানি ও বিদ্যুতের কাজ শেষ করব। যদিও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করব। হল খোলার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার এসেছে। এ সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি গণরুমের শিক্ষার্থীরা। তারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট শঙ্কা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তপন কুমার জোয়াদ্দার বলেন, হলগুলো প্রস্তুত ও পরিচ্ছন্ন করে রেখেছিলাম। খোলার সিদ্ধান্তের পর ঠিকাদাররা কাজ শুরু করাতেই আবারো নতুন করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হচ্ছে। সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ থাকবে, তারা যেন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে সহযোগিতা করেন।
হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল বলেন, বেশিরভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন পর খুলছে, এটা আমাদের জন্য নানামুখী চ্যালেঞ্জ। আশা করি শিক্ষার্থীরাও আমাদের সহযোগিতা করবে।