মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তরুণদের স্বনির্ভর হতে হবে। মেধায়, চিন্তা-চেতনায়, সততা ও নৈতিকতায় কর্মক্ষম মানুষ হতে হবে। শুধু ভালো জিপিএ দিয়ে আদর্শ মানুষ হওয়া যায় না। নিজের প্রতিভা ও যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে হবে। তাদের যেন চাকরির নেশায় পেয়ে না বসে। ঐকান্তিক ইচ্ছা, নিরলস প্রচেষ্টা, গভীর অধ্যবসায় এবং সততা ধারণ করতে পারলে তরুণরা কখনো ব্যর্থ হবে না। তরুণদের স্বাবলম্বী করার জন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
গতকাল পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত বাংলাদেশ: তারুণ্যের ভাবনায় মিট দ্য মিনিস্টার’ শীর্ষক সংলাপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদের সঞ্চালনায় এ আয়োজনে প্যানেল আলোচক ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী ও দৈনিক ইত্তেফাকের পিরোজপুর প্রতিনিধি মুনিরুজ্জামান নাসিম আলী।
তিনি আরো বলেন, তরুণ প্রজন্মের আগ্রহই হচ্ছে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তাদের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করতে না পারলে মাতৃভূমি বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ধারণা অস্পষ্ট থেকে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল—আমরা সবাই ভালো মানুষ হব। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ থাকবে না, কোনোভাবে সাম্প্রদায়িকতায় জড়িত হব না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে থাকব। দেশে দুর্নীতি থাকবে না, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য থাকবে না। গ্রামের একজন মানুষ না খেয়ে মারা যাবে, আরেকজন শতকোটি টাকার মালিক হবে, সেটা হবে না। এ দেশটা আমাদের সবার। প্রত্যেকটি মানুষের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার সমান।
এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন, ঘূর্ণিঝড় ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ঢেউটিন ও আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগীদের মধ্যে মিল্ক ক্রিম সেপারেট মেশিন বিতরণ করেন। বিকালে পিরোজপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গা মন্দিরে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান, ব্যক্তিগত অনুদান এবং জেলা পরিষদের অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী।