বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে নিয়ে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি শেষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৬ মে বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ মে) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ,অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ। অপরদিকে এনটিআরসিএ,র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ ফারুক হোসেন।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর আইনজীবী মোহাম্মাদ ফারুক হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আজকে আবেদনের শুনানি হয়েছে। আমরা আদালতে শুনানি করবো, কিন্তু আমাদেরকে আবেদনের কপি দেয়া হয়নি। আগামী ৬ মে (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে আদেশের জন্য বিষয়টি রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ১ থেকে ১২ তম নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পাশাপাশি নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলেন আদালত।
আদালতে এই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় পুনরায় এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ওই সময়ে আদালত অবমাননার বিষয় নিষ্পত্তি না করে তারা কোন শিক্ষক নিয়োগে কোন বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়।
নিবন্ধিত কিন্তু নিয়োগ বঞ্চিত কয়েক শতাধিক প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ) ওই দিন বলেছিলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিলো। তার মধ্যে একটি ছিলো সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করার। কিন্ত ২ বছরেও সে রায় বাস্তবায়ন করা হয়নি অভিযোগ করে রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি করে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা।
যদিও এনটিআরসিএ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে, যে রায় বাস্তবায়ন হয়নি দাবি করে আদালত অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল তা এনটিআরসিএ বাস্তবায়ন করেছে। আমরা তার লিখিত কপি উকিলের মাধ্যমে কোর্টে দাখিল করেছি। এখন আদালত বিষয়টি যাচাই করে নির্দেশনা দেবেন।