বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের আদলতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর নিয়োগ সুপারিশের ফল প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুর পর্যন্ত এ রায়ের কপি হাতে পায়নি এনটিআরসিএ। কর্মকর্তারা বলছেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরে তা পর্যালোচনা করে সুপারিশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তির ওপর আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সেটি তুলে নেয়া হয়েছে। তবে আদালতের আদেশের কপি আমাদের হাকতে পৌঁছায়নি। রায়ের কপি পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে গণবিজ্ঞপ্তি আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ সুপারিশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ৮৯ লাখের বেশি আবেদন গ্রহণ করেছে এনটিআরসিএ।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থী যারা আদালত অবমাননার মামলা করেছেন, তাদের বিষয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। রিটকারীদের আইনজীবীরা বলছেন, এ প্রার্থীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আর এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের একটি অংশে বলা ছিল, এনটিআরসিএকে রিটকারী ও অন্যান্য আবেদনকারীদের অর্জিত সনদ ও নিয়োগের জাতীয় মেধাতালিকা অনুসরণ করে শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে। সে রায় ৪ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা বলছেন, সে রায় অনুসারেই এনটিআরসিএ চলমান ৩য় চক্রে ও ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করেছে। তাই, আদালত অবমাননা হয়নি।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
কর্মকর্তারা আরও বলছেন, আদালত আদেশ দেয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তিতে দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হয়েছে। তাই ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশে আর কোন বাধা নেই।
তৃতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগে ৫৪ হাজার ৩০৪টি পদের মধ্যে ৪৮ হাজার ১৯৯ টি এমপিওভুক্ত শূন্যপদ। ননএমপিও পদ আছ ৬ হাজার ১০৫ টি। এগুলোর মধ্যে ২ হাজার ২০৭ টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থী আবেদনের সুযোগ পাবেন। এ পদগুলোতে ৮৯ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল বলে জানা গেছে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।