রাজধানীর বংশাল এলাকার আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালিন শিক্ষক জসিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে ডজন খানেক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঈদের ছুটির আগে নির্যাতনের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। ঈদের পর রোববার স্কুল খুললেও ওই ছাত্রীটি এখনও স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বালিকা বিদ্যালয়ের মান সম্মানের দিকে তাকিয়ে ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য সব ছাত্রীকে অনুরোধ করেছেন স্কুলটির এডহক কমিটির সভাপতি। ধর্মবই হাতে দিয়ে শপথ করিয়েছেন যাতে বাইরের কেউ এসব ঘটনা জানতে না পারেন। এসব অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। সব শিক্ষকদের বলা হয়েছে, এটি বালিকা বিদ্যালয়, সুতরাং যৌন নির্যাতনের ঘটনা জানাজানি হলে মেয়েদের ভর্তি করাবেন না অভিভাবকরা।
মোট দুই হাজার তিনশ ছাত্রী ও ৭০ জন শিক্ষক রয়েছেন স্কুলটিতে।
শাহজাহান নামের একজন অভিভাবক বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক জসিমউদ্দিন স্কুলের পাশেই একটি বাড়ী ভাড়া করেছে কোচিংয়ের জন্য। এটা সভাপতিকে বলা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। বারবার চেষ্টা করেও জসিমের মতামত পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ঘটনার পর অভিযোগ পেয়ে জসিমকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সভাপতি মাসুদা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে চলছেন্ । ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে মাসুদা এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে রয়েছেন।
সাজিদ নামের এক শিক্ষকের স্ত্রী ভুয়া নিবন্ধন সনদের চাকরি পেয়েছেন গত বছর। স্কুলটিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রয়েছে ঝামেলা।