কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ে আবারও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল সংলগ্ন একটি পাহাড়ে আগুন লাগে। আগুনে পাহাড়ের ওপর গাছপালা পুড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, পরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এর আগে কয়েকবার পাহাড় পরিস্কারের নামে ঝোপঝাড়ে আগুন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার কর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এস্টেট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের কর্মীরা নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। এসব কাজ তারা হাতেই করেন।
করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কম। তা ছাড়া প্রশাসনিক সুষ্ঠু তদারকির অভাবে বহিরাগত মাদকসেবীসহ বিভিন্ন মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। তাদের কারও মাধ্যমেও আগুন লাগানো হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
গত বছরের ১৪ মার্চ একটি পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পরিচ্ছন্নতার নামে আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় পাহাড় কেটেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাহাড় কাটার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর জরিমানাও করেছে প্রশাসনকে।
প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, 'কারা আগুন লাগিয়েছে সেটি বলতে পারব না। আগুন লাগার কথা শুনে আমরা তাড়াতাড়ি তা নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করেছি।'