আমাদের অত্যাশ্চর্য উপাচার্যরা - দৈনিকশিক্ষা

আমাদের অত্যাশ্চর্য উপাচার্যরা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে আমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ যখন শুরু হয়, তখন শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল খানিকটা ভীতিমিশ্রিত সম্মানের। ক্লাসের বাইরে শিক্ষকের সঙ্গে কালেভদ্রে দেখা-সাক্ষাৎ ঘটলে অস্বস্তিতে পড়তাম এবং কাঁচুমাচু হয়ে আদাব দিতাম; দুই এক জন যারা মুসলমান ছিলেন, তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল হাত উঁচা করা সালাম। শিক্ষকরা তখন ছিলেন পিতৃতুল্য। তখন আমাদের গ্রামে কোনো স্কুল ছিল না; পাশের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়। মনে আছে প্রাইমারি স্কুলের সোলায়মান স্যার আমাদের গ্রামে এসে তার ছাত্রদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতেন এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সে বিষয়ে মতবিনিময় করতেন। একবার আমার বিষয়ে যখন তিনি আলাপ করেন, তখন মা আমার বেহাল অবস্থা জেনে ভীষণভাবে আহত হন। রোববার (১৫ মার্চ) দেশ রুপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়,ওপর ক্লাসের ভাইদের কাছ থেকে পাওয়া পুরাতন বই আর স্লেট বগলতলে চেপে স্কুলে যেতাম, আর ফেরার পথে ফাঁকা মাঠে ঘণ্টাখানেক গোল্লাছুট খেলে বাড়ি ফিরতাম, রাতে চলত মৎস্য শিকার; বাড়িতে লেখাপড়ার বালাই ছিল না। মা নিজে নিরক্ষর হলেও সন্তানদের ব্যাপারে ছিলেন সাংঘাতিক বিদ্বৎসাহী; আমার দুরবস্থা দূর করার উপায় বের করতে তিনি স্কুলের সব শিক্ষকদের এক ছুটির দিনে দাওয়াত করে বাড়িতে আনেন। তারপর আমার ওপর শুরু হয় গরু পিটিয়ে মানুষ করার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা। আমি যে অজপাড়াগাঁ থেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরেছিলাম, তাতে এসএসসি পাস ঐ সোলায়মান স্যারের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা ও উৎসাহ ছিল প্রধান পাথেয়।

এখন অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, গ্রামে গ্রামে স্কুল গড়ে উঠেছে, উপজেলা পর্যায়ে একাধিক কলেজ হয়েছে, নারীশিক্ষার প্রসার ঘটেছে, সাক্ষরতার হার বেড়ে গেছে। দেশে এখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই ৪৮টি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭টি। কিন্তু শিক্ষার মানের হয়েছে অধোগতি, নিঃস্বার্থ শিক্ষকের হয়েছে তিরোধান, বদান্য শিক্ষানুরাগীরা হয়েছেন লুপ্ত, বিপরীতে এমপিওর (Monthly Payment Order) হয়েছে বহ্নুৎসব। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলমের সাম্প্রতিক কালের একটি লেখায় দেখলাম যে, আমাদের প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রদের মাত্র ১৩ শতাংশের গণিত কষার পারদর্শিতা রয়েছে। এই অবস্থার পরিব্যাপ্তি সর্বত্র; মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পর্যায়েই এই ব্যাধির সর্বগ্রাসী আক্রমণ থেকে মুক্ত নয়। আমি নিজে চাকরির সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পাস করা এক প্রার্থীর মুখে অনেক বিচ্যুতির মধ্যে ‘cheat’কে ‘heater’ এবং ‘data’কে ‘data’ বলতে শুনেছি। আপনি বলতে পারেন যে,  pidgin english ব্যবহার করে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারলে দোষের কিছু নেই। সাধারণ্যে সেটা হয়তো ঠিক আছে, ভারতীয় এবং চাইনিজদের মধ্যে এটা আমরা হরহামেশাই লক্ষ করি। কিন্তু প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের জন্য সেটা অবশ্যই দীনতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপাদিত এই জাতীয় পণ্য দিয়ে আমাদের স্বপ্নপূরণ কতটুকু সম্ভব, সেটা ভেবে দেখার অবকাশ আছে।

উন্নয়নের জন্য শিক্ষার অপরিহার্যতা নিয়ে বোধ করি কারও কোনো প্রশ্ন নেই। উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে যেনতেন মানের শিক্ষার প্রসারও অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান রাখতে সক্ষম হয়, যেটার সুযোগ নিয়ে আমরা আজ স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি থেকে বের হতে পেরেছি। কিন্তু উন্নয়নের এই ধারাকে টেকসই এবং বেগবান করতে ব্যাপকভিত্তিক মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ২০২৬ সালে আমরা যখন স্বল্পোন্নত দেশের ক্লাব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক হয়ে বের হব, তখন আমাদের আমদানি-রপ্তানি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, উৎপাদন-ভোগসহ প্রতিটা ক্ষেত্রে উন্নত দেশের সঙ্গে সমানতালে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হবে, অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ-হার্ভার্ড থেকে পাস করা স্নাতকদের সঙ্গে নেগোশিয়েট করতে হবে, তাদের পণ্যকে দামে ও মানে হারিয়ে সামনে এগোতে হবে। এই কঠিন প্রতিযোগিতায় জয়ী করে দেশকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যেতে জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, অর্থনীতি প্রভৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা এবং সক্ষমতা জাগ্রত করতে হবে। বিপ্লব ছাড়া আর্থ-সামাজিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে এই বাঞ্ছিত রূপান্তর আনতে পারে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো জ্ঞান সৃজন, আহরণ ও বিতরণের মাধ্যমে।

আমাদের ছাত্রাবস্থায় মানুষের চাঁদে আবতরণ ছিল একটি বৈপ্লবিক ঘটনা; ‘ a giant leap for mankind’। ১৯৬১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি যখন সোভিয়েত রাশিয়াকে পিছে ফেলে ষাটের দশকের মধ্যেই চাঁদে মনুষ্য-পদচিহ্ন অঁাঁকার সংকল্প ব্যক্ত করেন, তখন নাসার ((National Aeronautics and Space Administration) বিজ্ঞানীদের নাভিশ্বাস শুরু হয়; তারা মহাকাশে অভিযাত্রা শুরু করেছেন বটে, কিন্তু এক দশকের কম সময়ের মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ভেদ করে এবং দূর-নিয়ন্ত্রণযোগ্য মডিউলের মাধ্যমে মানুষের চন্দ্রদেশে অবতরণ করানোটা ছিল তাদের কাছে এক অসম্ভব ব্যাপার। তাদের অসম্ভব এই বিষয়টা সম্ভব করে তুলেছিল এমআইটির (Massachusetts Institute of Technology) বিজ্ঞানীরা এবং সেখানকার ইন্সট্রুমেন্টেশন ল্যাব। নাসার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে এমআইটি-ই অ্যাপোলো মিশনগুলো পরিচালনা করে এবং পরিশেষে অ্যাপোলো-১১ এ কাজে সফলতা নিয়ে আসে। আমাদের দেশে কৃষিক্ষেত্রে আজ যে এত সাফল্য, তার পেছনেও আছে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গবেষণাগারগুলোর অবদান। এমনি করে অন্যান্য সব ক্ষেত্রে, বিশেষ করে (Massachusetts Institute of Technology) অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, কলা এবং গণিত শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে অনুধ্যান ও গবেষণার মাধ্যমে আমাদের উৎকর্ষের শিখরে ওঠার প্রচেষ্টা নিতে হবে। তবেই আমরা সমানতালে এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।

কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সংখ্যায় ও কলেবরে যে হারে বেড়েছে, সেখানে জ্ঞান সৃজন, আহরণ ও বিতরণের কাজ কতটুকু হচ্ছে, সেটাই দেখার বিষয়। বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান কর্র্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে র‌্যাংকিং করা হয়, তার ১০০০টার মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই; এমনকি, এশিয়ান র‌্যাংকিং অনুযায়ী ১০০টার মধ্যে আমাদের একটাও নেই। যে সব মানদণ্ডের ভিত্তিতে র‌্যাংকিং করা হয় তার মধ্যে প্রধান হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অ্যালামনাইদের অ্যাকাডেমিক ও গবেষণার কর্মক্ষমতা, মান ও পরিমাণ, মানসম্পন্ন প্রকাশনা, কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারপ্রাপ্তি। প্রতিষ্ঠার পর তিরিশ ও চল্লিশের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল গৌরবোজ্জ্বল সময়; পূর্ববাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির উন্মেষে এর ভূমিকা ছিল অনন্য, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এই বিশ্ববিদ্যালয় পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। এক সময়ে আইনস্টাইনের সঙ্গে কাজ করা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সত্যেন বোস ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আর সি মজুমদারের মতো প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য। কিন্তু এখন আমরা শুধু সেই ঐশ্বর্যময় অতীতের স্মৃতিই রোমন্থন করতে পারি; কাজে তার ধারেকাছেও যেতে পারছি না। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও করুণ; নিত্যদিনের সংবাদ সমাচার এর নিরবচ্ছিন্ন সাক্ষী।

জ্ঞান সৃজন, বিতরণ ও উপযুক্ত কারিগর তৈরিতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমনটা নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ব্যয় নির্বাহ করা হয় ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত উৎস থেকে, যার প্রধান প্রেষণা থাকে মুনাফা; উচ্চ ব্যয়ের কারণে নিম্নবিত্ত মেধাবীদের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। সেখানেও নেই তেমন কোনো শৃঙ্খলা; এগুলোর অধিকাংশই চলছে নিয়মিত ভিসি ছাড়া। তাছাড়া, টাকাওয়ালাদের অনেক unworthy son’ এগুলোতে ভর্তি হয়ে দরিদ্র মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার পথ রুদ্ধ করে থাকে। এর বিপরীতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে জনসাধারণের অর্থে; তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি তাদের দায়িত্ব অনেক। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধার হিসেবে উপাচার্যরাই সে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু ইদানীং আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা সে সব দায়িত্ব বিস্মৃত হয়ে যেসব কাণ্ডকারখানায় নিজেদের জড়িয়ে ফেলছেন, সেগুলো অনেক কৌতুকের জন্ম দিচ্ছে। বিগত ৬ মার্চ সিনিয়র সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘ইসি-ভিসির সার্কাস’ নিয়ে মানুষ কেমন আনন্দ পাচ্ছে, তার একটি প্রাণবন্ত চিত্র তুলে ধরেছেন, আর আফসোস করে বলেছেন যে, দেশে কি যোগ্য লোকের এতই অভাব! 

আমাদের ভাইস চ্যান্সেলররা বলতেই পারেন যে, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নতুন কিছু নয়; রবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল। একথা ঠিক যে, ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী যখন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, তখন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিযুক্ত হন তার প্রথম উপাচার্য। এরপরই তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদপাতা আর্থিক অনিয়মের জালে জড়িয়ে পড়েন। আদালতে অবশ্য সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কিন্তু আশ্রমের অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের স্ত্রী মীরার সঙ্গে প্রথাভাঙা অন্তরঙ্গতার জের ধরে তৎকালীন আচার্য পণ্ডিত জওয়াহেরলাল নেহরু নির্মল বাবু ও মীরাকে শান্তিনিকেতন থেকে সরিয়ে দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেন। এতে অপমানিত হয়ে রথীন্দ্রনাথ ১৯৫৩ সালে পদত্যাগ করেন। কিন্তু আমাদের উপাচার্যদের অপমানবোধ থাকলে তো আর চলবে না, তাদের তো আসল অর্থে পদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।

ইংরেজিতে vice’ শব্দের ৩টি অর্থ আছে; প্রথমটি ‘অসচ্চরিত্রতা’, দ্বিতীয়টা ‘বদলে’ এবং তৃতীয়টা ‘পাকসাঁড়াশি’। শেষোক্ত অর্থে এটার ব্যবহার তেমন একটা লক্ষ করা যায় না; কিন্তু বাকি দুটোর ব্যবহার এন্তার, তবে প্রথম অর্থটিই সর্বাধিক ব্যবহৃত। আবার একটি বিশেষ্য পদের আগে আর একটি বিশেষ্য পদ ব্যবহার করা হলে প্রথম বিশেষ্যটি বাস্তবে বিশেষণে রূপ নেয়। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে, আমাদের অনেক উপাচার্য বুঝি তাদের ইংরেজি পদবির প্রথম শব্দটির বহুল ব্যবহৃত অর্থটিকেই স্বর্গসুখ বিবেচনা করে একটার পর একটা কাণ্ড করে যাচ্ছেন; আক্ষরিক অর্থে পদমর্যাদার প্রতি সুবিচার বলে কথা!

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষ পদে থাকবেন এমন সব মহীরুহ যারা সোনার বাংলা গড়ার উপযুক্ত কারিগর তৈরিতে হবেন সক্ষম এবং দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। বঙ্গবন্ধু তার স্বল্প শাসনামলে এ কাজ করতে ড. ইন্নাস আলি, আবুল ফজল, খান সারওয়ার মুর্শিদ, ড. মাজহারুল ইসলাম, মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মতিন চৌধুরীর মতো প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও অ্যাকাডেমিশিয়ানদের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। তাই আমিও পীর হাবিবের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই দেশে যোগ্য লোকের অভাব নেই, এমনকি, বিদেশেও এখন বহু বঙ্গসন্তান মানুষের সমীহ অর্জন করে চলেছেন। শাসক দল তাদের পছন্দ অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগ দেবে, তাতে দোষের কিছু নেই; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেভাবেই উচ্চপদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্তরা হবেন প্রকৃত অর্থে যোগ্য, দক্ষ, মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক; উন্নয়নের এই সন্ধিক্ষণে দেশ গড়ার কারিগর তৈরিতে তারা হবেন vicious নয়, virtuous। এটাই সবার প্রত্যাশা।

লেখক : বদরুল হাসান,খাদ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034909248352051