আমাদের দেশে কি ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা নেই : এহছানুল হক মিলন - দৈনিকশিক্ষা

আমাদের দেশে কি ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা নেই : এহছানুল হক মিলন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যথেষ্ট মানসম্মত লেখাপড়া হত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ালেখা করার জন্য আসত। ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক হোস্টেল সেই সময়ের সাক্ষী হয়ে আছে।

‘অথচ এখন বাংলাদেশ থেকে ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন দেশে লেখাপড়া করতে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাহলে আমাদের দেশে কি ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা নেই?’

সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কুয়ালালামপুরের ডি-পালমা হোটেলের বলরুমে ‘মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন প্রশ্ন রাখেন সাবেক এই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও সর্বোত্তম আচরণের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।

মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়েজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. তোফায়েল আহমদ তালুকদার।

এহছানুল হক মিলন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে গবেষণাসহ উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হয়। আগে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যথেষ্ট মানসম্পন্ন গবেষণা হত।

তিনি বলেন, আগেও আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশে যেত। কিন্তু সেই সংখ্যা ছিল একেবারেই হাতেগোনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা ছিল এমফিল, পিএইচডি বা পোস্ট ডক্টরেট গবেষণার জন্য। তাদের প্রায় সবাই বিদেশে লেখাপড়া করতেন বিভিন্ন সংস্থার স্কলারশিপে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির ডা. আহমেদ বুরহান বলেন, কালের পরিক্রমায় আমাদের দেশে এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও খোদ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষা ও গবেষণার মান এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এ থেকে উত্তরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মাহাশা ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আবুল বাশার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টুডেন্ট বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ড. মোহাম্মাদ মেহেদি মাসুদ, কমিউনিটি নেতা কাজী সালাহ উদ্দিন, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আব্দুল বাছিত, কাউসার আহমেদ, নেছার আহমেদ, ফয়েজ নূর, ফরহাদ হোসাইন, মাহিয়া মাহি, সাজ্জাদ আহমেদ, নাইম আহমেদ প্রমুখ।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031490325927734