আমেরিকার উচ্চ শিক্ষায় চীনের প্রভাব রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। দেশটির শিক্ষায় চীনের এমন হস্তক্ষেপের সমালোচনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগকে অস্বীকার করেছে চীন।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউটে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, চিন্তাবিদ ও জ্ঞানী ব্যক্তিদের অর্থ সরবরাহ করছে বেইজিং। তাদের অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্য হলো, কমিউনিস্ট পার্টি যে বিষয়গুলোকে বিপদজনক ও ক্ষতিকর মনে করবে, সেগুলো সম্পর্কিত ধারণা যেন অর্থগ্রহণকারীরা এড়িয়ে চলে।
তিনি আরও বলেন, চীনের বিশেষজ্ঞরা খুব ভালোভাবেই জানে, তাদের গবেষণা বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে গেলে ভিসা জটিলতা তৈরি হবে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বরাত দিয়ে ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা নিতে আগ্রহী সব চীনা শিক্ষার্থীর ভিসা আটকে দেয় দেশটির সরকার। এমনটি করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি অংশ কমে যাবে। আমেরিকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন লাখই চীনের।
বিদেশি শিক্ষার্থী সম্পর্কে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জানায়, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরি করতেই আসে তারা। এভাবেই তারা অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে উন্নত হতে চায়।
ফেব্রুয়ারিতে বৈশ্বিক হুমকি ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির এক শুনানিতে এফিবিআই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রাই জানান, চীনের অনেক গুপ্তচর শিক্ষার্থীর প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যেসব উদ্ভাবন করছি, সেগুলোর সুবিধা নিচ্ছে তারা।