কভিড মহামারির কারণে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম আরো এক বছর ব্যাহত হলে সেই ক্ষতির ভার শিশুরা বইতে পারবে না বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যেহেতু কভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় বছরে প্রবেশ করেছি এবং বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, তাই স্কুলগুলো খোলা রাখা বা আবার খোলার পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার দিতে কোনো প্রচেষ্টাই বাদ দেওয়া উচিত হবে না। আর স্কুলগুলো মহামারির চালিকাশক্তি নয় বলে জোরালো প্রমাণ রয়েছে। এর পরও অনেক দেশ প্রায় এক বছর ধরে স্কুলগুলো বন্ধ রেখেছে।’
হেনরিয়েটা ফোর বলেন, ‘মহামারির চূড়ান্ত পর্যায়ে লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলগামী শিশুদের এক-তৃতীয়াংশই দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়নি। ফলে স্কুলগুলো বন্ধ রাখায় তা বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘শিশুদের পড়া, লেখা ও প্রাথমিক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একবিংশ শতাব্দীর অর্থনীতিতে সাফল্য অর্জনে যে দক্ষতার প্রয়োজন তা হ্রাস পেয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য, বিকাশ, নিরাপত্তা এবং সার্বিক কল্যাণের বিষয়টি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’