ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা - দৈনিকশিক্ষা

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ক’দিন আগে রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ও-লেভেলের এক ছাত্রী তার এক বন্ধুর বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে। অভিযোগ আছে, গ্রুপ স্টাডির কথা বলে মেয়েটিকে ডেকে নেয়া হয়। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মেয়েটি বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে হাইপোভোলেমিক শকে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণকারী ওই বন্ধুই হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঐ বাসায় ওই মুহূর্তে অভিযুক্ত ছেলেটির আরও কিছু বন্ধু অবস্থান করছিল। ওরাও ধর্ষণে জড়িত ছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। আদালত ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন। ফরেনসিক বিভাগ ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ঘটনার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সংশ্লেষ থাকলে তা ডিএনএ পরীক্ষায় বেরিয়ে আসবে।

এ ঘটনায় যথারীতি সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ঘটনার বিভৎসতায় ক্ষোভে-বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়ে সারাদেশ। এই নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে এবং সংঘটিত অপরাধের কঠোর শাস্তির দাবিতে মাঠে নামে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্বলন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ইত্যাকার নানাবিধ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। এরূপ কোন ঘটনা ঘটলে যা হয় আর কি। একেকটি ঘটনা ঘটে আর চারদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধী ধরাও পড়ে। বিচার-আচার হয় এবং শেষাবধি অপরাধীর প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। এখানেও হয়ত এগুলোর সবই হবে। মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। আশা করা যায়, বিচারও হবে। এতে হয়ত ভিকটিমের বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজন, সতীর্থ-শুভানুধ্যায়ী এবং সর্বোপরি দেশের সাধারণ মানুষ এক ধরনের মানসিক সান্ত¦না পাবে। কিন্তু, যে মেয়েটি তার সম্ভ্রম হারাল, অব্যক্ত যন্ত্রণার শিকার হয়ে তিলে তিলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সে কি আর ফিরে আসবে? আরও বড় প্রশ্ন হচ্ছে, এসব ব্যবস্থা নেয়াতে কি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হচ্ছে বা হবে? না হয়ে থাকলে কেন?

এদেশে আবহমানকাল থেকে কিছু প্রবাদ-প্রবচন চালু আছে। এসব প্রবাদ-প্রবচন যুগের পর যুগ বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে মানুষের অর্জিত ও সঞ্চিত অভিজ্ঞতাকে প্রতিফলিত করে। এমনই একটি প্রবচন- ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ।’ রবি ঠাকুরের ‘পুরাতন ভৃত্য’ শীর্ষক কবিতার এই কবিতাংশটুকুও হয়ত একই রকম অর্থ বহন করে- ‘যা কিছু হারায়, গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর!’। এদেশে যখন কোন কিশোরী-তরুণী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, কিছু লোক অতি সহজে এ অন্যায়ের দায়-দায়িত্ব চাপানোর জন্য দুটো সহজ টার্গেট বেছে নেন। এক, ভুক্তভোগী মেয়ে ও তার অভিভাবক। মেয়ের চরিত্র ভাল নয়, অভিভাবকরা মেয়েকে দেখে-শুনে রাখেননি কেন- এ ধরনের কথা-বার্তা জনে জনে মুখে মুখে ফিরছে। দুই, সরকার, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। এদের অকর্মন্যতাই যেসব নষ্টের মূল, আমাদের কিছু বন্ধু অতি দ্রুত প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এ রায় দিয়ে ফেলেন।

আমাদের কিছু বন্ধু এরই মধ্যে হয়ত আমাকে ভুল বুঝে বসে আছেন। বিষয়টি একটু বুঝিয়ে বলা দরকার। আমার মনে হয়, বাড়ন্ত বয়সের মেয়েদের সাবধানে চলা এবং তাদের প্রতি অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা যে জরুরি, এ বিষয়ে কেউই দ্বিমত পোষণ করবেন না। কিন্তু, এটা বলার সময়ে আমরা অনেকেই এ বয়সী ছেলে-মেয়েদের সুপথে রাখতে ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমাজ এবং রাষ্ট্রেরও যে বিরাট দায়িত্ব রয়েছে, সেটা বেমালুম ভুলে যাই। ছেলে-মেয়ে এবং তাদের অভিভাবক ও পরিবার-পরিজনের সমালোচনা করেই আমরা আমাদের দায় সেরে ফেলি। সামগ্রিক পরিবেশের সুস্থিতি নিশ্চিতে আমাদের যে একটি কার্যকর সামষ্টিক ভূমিকা রাখা প্রয়োজন তা নিয়ে আমরা কতটুকু ভাবছি কিংবা কতটুকু করতে পারছি সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে মনোযোগ দেয়ার সময় এসেছে। আধুনিক যুগে আমরা যখন ছেলে-মেয়েদের সবাইকে স্কুল- কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছি, এ ছেলে-মেয়েগুলো কতক্ষণই বা মা-বাবার চোখের সামনে থাকে? বাসার বাইরে কোন ছেলে বা মেয়েকে যদি সমাজের চোখে অগ্রহণযোগ্য কর্মে ব্যাপৃত হতে দেখা যায় তাকে নিবৃত করা এবং প্রয়োজনে বিষয়টি অভিভাবকদের গোচরে আনা কি সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?

এবার অন্য একটি দিক ভেবে দেখুন। বাবা-মা দুজনই যখন চাকরিজীবী, তাদের স্কুলগামী ছেলে-মেয়েগুলোর দেখভাল করবে কে? গাঁও-গেরামে একান্নবর্তী পরিবারে এই সাপোর্টটুকু দেয়ার জন্য কাউকে না কাউকে পাওয়া যায়। শহরাঞ্চলে ফুল-টাইম কাজের বুয়া রাখা ছাড়া আর ভাল কোন বিকল্প আছে কি? আমাদের দেশে এ ধরনের সার্ভিস দেয়ার জন্য চাইল্ড কেয়ার টাইপের তেমন কিছু কি গড়ে উঠেছে? কাজের বুয়া পাওয়াও তো এখন অনেক মুশকিল হয়ে পড়েছে। একদিকে তাদের নিজেদেরও ছেলে-পুলে, ঘর-সংসার আছে, অন্যদিকে গার্মেন্টস শিল্পের সুবাদে এদের অনেকের এখন অপেক্ষাকৃত ভাল মাইনেতে বিকল্প কর্মসংস্থান জুটছে। বাদ থাকল, মা-বাবার কেউ একজনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেকে পুরো দস্তুর গার্হস্থ্য কর্মে নিয়োজিত করা। আজকালকার টানাটানির দিনে একজনের বেতনে চলাও তো কোন সহজ বিষয় নয়। তাছাড়া, একজন উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবীকে যদি বসে বসে ঘর পাহারা দিতে বলা হয়, এটা কি তার প্রতি সুবিচার হবে? আসলে, আধুনিক সমাজে যে বিষয়টি আমরা প্রায়শ ওভারলুক করে যাচ্ছি তা হলো, সন্তান জন্মদান থেকে শুরু করে বাড়ন্ত বয়সে তার দেখভাল করার যে বিশাল ও কঠিন কর্মযজ্ঞ তা কর্মজীবী বাবা-মায়েরা, বিশেষ করে উভয়েই যখন চাকরি করছেন, কিভাবে ম্যানেজ করবেন। এ বয়সের ছেলে-মেয়েদের জানার আগ্রহ প্রবল, তাদের মধ্যে এক রকম জেদি-একরোখা মনোভাব কাজ করে, জীবনের তিক্ত ও কঠিন দিকগুলোর অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে হুজুগ ও আবেগের বশে পদে পদে ভুল পথে পা বাড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। এসব কারণে ছেলে-মেয়েরা যাতে ভুল পথে পা না বাড়ায়, তার জন্য বলা চলে সার্বক্ষণিক পরিচর্যা ও নজরদারির প্রয়োজন। এহেন অবস্থায়, বাবা-মা দুজনেই যদি চাকরিতে থাকেন আর এ কারণে সন্তানের ঠিকমতো খোঁজ-খবর রাখতে ব্যর্থ হন, এক্ষেত্রে যথার্থ পরিচর্যা ও শাসনের অভাবে ছেলে-মেয়ে বিপথগামী হলে অবাক হওয়ার কিছু আছে কি?

এটা আনন্দের বিষয় যে, আজকের দিনে নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে সমাজ ও রাষ্ট্র অনেক সোচ্চার। নারী নির্যাতন ও নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধেও উচ্চকণ্ঠ। কিন্তু, এতে করে কর্মজীবী নারীদের সংসার নির্বাহ ও পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে, তা নিরসনে আমরা কতটুকু দৃষ্টি দিচ্ছি? আমরা কি রাষ্ট্রীয়/ সামাজিক ব্যবস্থাপনায় তাদের সন্তান-সন্তুতিদের দেখভালের একটি ব্যাপকভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ কি নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে এই ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে পারে? কর্মজীবী নারীদের এ অসুবিধার কথাটি বিবেচনায় নিয়ে তাদের কর্মঘণ্টা কি কমিয়ে দেয়া যেতে পারে? তাদের অফিসে উপস্থিতির বিষয়ে কি একটু নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা যেতে পারে? পারিবারিক প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে অফিসের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি কি সহৃদয়তার সঙ্গে বিবেচনা করা যেতে পারে? যেখানে প্রযোজ্য, নারীদের জন্য কি ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ‘ওয়ার্কিং ফ্রম হোম’ সিস্টেম চালু করা যেতে পারে?

এবার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সমাজে উঠতি বয়সের মেয়েদের পদে পদে অনেক বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়। এর মধ্যে একটি হল, স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়ার পথে কিংবা ক্যাম্পাসে কিছু ছেলে তাদের পিছু নেয়। এদের মধ্যে আবার কিছু ছেলে পারিবারিক প্রতিপত্তি কিংবা রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে দুর্বিনীত হয়ে ওঠে এবং স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলে। কোন মেয়েকে পছন্দ হলে তার কাছে প্রেমের প্রস্তাব পাঠায় এবং তা গৃহীত না হলে মেয়েটিকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে তার জীবন অসহনীয় করে তুলে। আরেকটি অংশ থাকে যারা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ গোছের এবং প্রথম গ্রুপটির মতো অতটা আগ্রাসী না হলেও তাদের প্রেম-ভালবাসার চাহিদা মেটাতে সতত মেয়ে খুঁজে বেড়ায়। আসলে, বয়সটাই এমন। এ বয়েসী ছেলে-মেয়েদের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রবল আকর্ষণ কাজ করে। কাজেই, আপনি এমন কিছু মেয়েও খুঁজে পাবেন যারা ছেলে পছন্দ হলে উৎসাহের সঙ্গে তার প্রস্তাবে সাড়া দেয়। এদের কেউ কেউ আবার নিজেরাই পছন্দমতো ছেলের সন্ধানে ব্যস্ত থাকে। নিঃসন্দেহে এটি সহজাত মানবীয় প্রবৃত্তিরই একটি অংশ। কাজেই, আপনি এটাকে কেবল বাঁকা চোখে দেখলে মানব প্রকৃতিকেই অস্বীকার করা হবে। সমস্যা দেখা দেয়, একটি মেয়ে যখন এমন কারও সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে যার নীতিবোধ দুর্বল, যার চরিত্রে মিশে আছে প্রতারণা ও লাম্পট্য। সব হারিয়ে একটি মেয়ে যখন বিষয়টি বুঝতে সমর্থ হয়, দেখা যায় অনেক দেরি হয়ে গেছে।

বিষয়টি আরও একটু বিস্তৃতভাবে দেখা যাক। এ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত, আলোচিত ও দামী শব্দটি মনে হয় ‘ভালবাসা’। যদিও ভালবাসার ব্যাপ্তি অনেক বড়, সাধারণভাবে বয়ঃপ্রাপ্ত নারী-পুরুষের পারস্পরিক ভালবাসার বিষয়টিই সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। বঙ্গীয় মুসলিম সমাজ রক্ষণশীল। এ সমাজ ছেলে-মেয়েদের বিবাহ-পূর্ব প্রেম-ভালবাসার সম্পর্কে উৎসাহ যোগায় না। কিন্তু, তাতে কি? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিংবা সমাজের বৃহত্তর পরিসরে তো ছেলে-মেয়েরা অনায়াসে মেলা-মেশার সুযোগ পাচ্ছে। তা ছাড়া, এ বয়সী ছেলে-মেয়েদের গান-বাজনা, সিনেমা-থিয়েটার, গল্প-উপন্যাস ইত্যাদির প্রতি বিশেষ আগ্রহ কাজ করে, যাদের বেশিরভাগেরই অন্যতম প্রধান উপজীব্য হয়ে থাকে নর-নারীর প্রেম-ভালবাসার রসায়ন। সুতরাং, পরস্পরের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার সুবাদে কিছু ছেলে-মেয়ের মধ্যে একটি রিলেশন গড়ে ওঠে। ব্যাপারটা এ পর্যন্ত এসে থামলে হয়ত অনেকেই তেমন কিছু মনে করতেন না। তবে, আপনার মনে রাখা দরকার, এটি ইন্টারনেট ও আকাশ সংস্কৃতির যুগ। সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। বাটনের এক চাপে যেখানে ইচ্ছে ঢুকে পড়া যায়, এমনকি নারী-পুরুষের বেড রুমেও। ফলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রবল সহজাত আকর্ষণ, এন্টারটেইনমেন্ট শিল্পের নিরন্তর ‘ভালবাসা-ভালভাসা’ গুঞ্জরণ এবং ‘অজানাকে জানা, অদেখাকে দেখার’ প্রচণ্ড ঔৎসুক্য এই রিলেশনকে অনেক সময় এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যায় যাকে এ সমাজ কোনভাবেই অনুমোদন দিতে প্রস্তুত নয়। বিপত্তির শুরুটা হয় এখানেই। ছেলে-মেয়ে অভিভাবকদের অগোচরে এমন সম্পর্ক গড়ে তোলে, যা এ সমাজ কেবল বিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রেই অনুমোদন করে। বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলছে, সমাজে লুকিয়ে-চুরিয়ে নানাবিধ যৌন উত্তেজক মাদকের প্রাপ্যতা, যা সহজেই তাদের অন্ধকার জগতে হারিয়ে যেতে সাহায্য করে। অনেক সময় এসব রিলেশন টেকে না। শুরু হয় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, হুমকি-ধমকি, মামলা-মোকাদ্দমা এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা এমনকি আত্মহত্যা কিংবা হত্যা পর্যন্তও গড়ায়।

সমস্যাটা যতটা না প্রশাসনিক বা বিচারিক, তার চেয়েও বেশি সামাজিক। এখানেই ফের চলে আসে সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের প্রশ্ন। এ সমস্যার এমন অনেকগুলো দিক রয়েছে যেগুলোর সমাধান ব্যক্তি বা পরিবারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। ব্যক্তি/ পরিবার বড় জোর গা বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করতে পারে। সমাধান করতে হলে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সমস্যার প্রতিটি দিক নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তবে, এটাও ঠিক, একটি সমাজে যখন কোন অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে, তখন রাষ্ট্রযন্ত্রের একার পক্ষে খুব বেশি কিছু করা সম্ভব হয় না। কাজেই, রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রক ভূমিকার পাশাপাশি ব্যাপক পরিসরে সমাজ ও সাধারণ্যের ইতিবাচক অংশগ্রহণেই কেবল বিদ্যমান সমস্যার নিষ্পত্তি হতে পারে। তবে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের উদ্যোগ ও সিদ্ধান্তসমূহ রাষ্ট্রের কাছ থেকেই আসতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক ড. মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন, ফার্মেসি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048720836639404