ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) আন্তর্জাতিকবিষয়ক কার্যালয়ের আমন্ত্রণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ও মালদ্বীপের হাইকমিশনার আলাদা দুটি দল নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। এ সময়ে নিজ নিজ দলকে নেতৃত্ব দেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্র ও মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামির।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এক সভায় নেপাল ও মালদ্বীপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউএপির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টি করা ও পারস্পরিক সম্পর্ক স্থায়ী করা বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প, একাডেমিক প্রোগ্রাম এবং শিক্ষার্থী উন্নয়নে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক হয়ে আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারে, কথা হয় সে বিষয়েও।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএপির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান মাহমুদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের সামনে ইউএপির অর্জনগুলো তুলে ধরেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইউএপির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জনাব কে এম মজিবুল হক, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান। সমাপনী বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান, শিক্ষা কার্যক্রম, সুযোগ-সুবিধা, ইত্যাদি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউএপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইসমাত জেরিন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্র বলেন, “মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর কারণ আমাদের দেশ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস প্রায় একই ধরণের। সুতরাং, মানসম্মত শিক্ষা ও প্রযুুক্তিগত সাফল্যের বিনিময় নিশ্চিত করতে কাজ করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।”
মালদ্বীপের হাই কমিশনার শিরুজিমাথ সামির বলেন, “ইউএপি সবসময় আমাদের কাছে বিশেষ একটি কিছু। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমরা কাজ করছি এবং আশা করব ইউএপিও হবে তাদের মধ্যে অন্যতম। ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনে আমরা একসাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।”
অনুষ্ঠানের অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানগন। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথির মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে, প্রতিনিধি দলদুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, শ্রেণীকক্ষ, পরীক্ষাগার, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এবং অডিটোরিয়াম পরিদর্শন করেন।