রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন ত্যাগ করতে শুরু করেছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, সীমান্তে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী কর্মকর্তাদের হাতে।
নাইজেরিয়ার শিক্ষার্থী র্যাচেল ওনেয়েগবুলে জানান, তাঁকে সীমান্ত শহর শেহেনিতে রেখে যাওয়া হয়েছে। এই শহরটির অবস্থান ইউক্রেন রাজধানী কিয়েভ থেকে ৪০০ মাইল দূরে।
ওনেয়েগবুলে বলেন, ‘১০টিরও বেশি বাস এসেছে। আমরা সবাইকে চলে যেতে দেখেছি। আমরা ভেবেছিলাম সব ইউক্রেনিয়ানকে নেওয়ার পর আমাদেরকেও নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তাঁরা আমাদের হাঁটার কথা বলে। জানায়, আর কোনো বাস নেই। ’
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন চতুর্থ বর্ষের ভারতীয় শিক্ষার্থী সাকশি ইজান্তকর। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে যেতে হলে তিনটি চেকপোস্ট রয়েছে, যা দিয়ে আমাদের যেতে হবে। তাঁরা সেখান দিয়ে ভারতীয়দের পার হতে দিচ্ছে না। ’
ইজান্তকর বলেন, ‘তাঁরা ইউক্রেনের ৫০০ নাগরিকের পর শুধু ৩০ জন ভারতীয়কে পার হওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে। এই সীমান্তে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথম চেকপয়েন্ট থেকে দ্বিতীয় চেকপয়েন্ট পর্যন্ত চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারের দূরত্ব পাড়ি দিতে হবে। ইউক্রেনের নাগরিকদের বাস ও ট্যাক্সি দেওয়া হচ্ছে। অন্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের হাঁটতে হচ্ছে। তাঁরা ভারতীয় ও অন্যদের প্রতি খুবই বর্ণবিদ্বেষী আচরণ করেছে। ’
সহিংতার ঘটনাও ঘটতে দেখেছেন বলে জানান এই ভারতীয় শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, মিসরীয় এক ব্যক্তিকে জোরে ধাক্কা দেয় এক ইউক্রেনের এক সীমান্তরক্ষী। এতে জ্ঞান হারিয়ে তিনি কাঁটাতারের বেড়াজালের ওপর পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের পেটাচ্ছিল। ’
আফ্রিকান ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান মুসা ফাকি মাহামত সোমবার বলেছেন, ‘ইউক্রেন সীমান্তে আফ্রিকান নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম করার অধিকার প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে—এমন খবরে আমরা বিরক্ত। এ ধরনের বর্ণবাদী আচরণ অগ্রহণযোগ্য। ’ সূত্র : সিএনএন