মার্চ মাসে ইএফটিতে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বেতন দিতে তথ্য ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ইএমআইএস সেলের ওয়েবসাইটে আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষকরা ইএফটির তথ্য ফরম পূরণ করতে পারছেন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের ফরম পূরণ করতে হবে। সব এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইএফটির তথ্য সঠিকভাবে হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
মার্চ মাসে ফেব্রুয়ারির এমপিওর টাকা ইএফটির মাধ্যমে পাঠানো হবে। আর এজন্য শিক্ষকদের জন্য ইএফটির ফরম প্রস্তুত করা হয়েছে। ইএমআইএস সেলের ওয়েবসাইটে আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষকরা ইএফটির তথ্য হালনাগাদ করতে পারছেন।
অধিদপ্তর বলছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ইএমআইএস সেলের ওয়েবসাইটে (www.emis.gov.bd) আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে এমপিও মডিউলের ইএফটি ইনফরমেশন আপডেট বা ইফটি তথ্য হালনাগাদ মেনুতে প্রবেশ করে সব শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হালনাগাদ করতে হবে। এ জন্য কোন কারিগরি সহায়তার জন্য ইমেইলে [email protected] ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।
তথ্য সঠিক না থাকলে ইএফটির মাধ্যমে এমপিওর টাকা শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাংক হিসেবে জমা হবেনা বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
শিক্ষকদের বেতন ইএফটির মাধ্যমে কবে দেয়া হবে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আশা করছি, ফেব্রুয়ারির এমপিও মার্চ মাসে শিক্ষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো সম্ভব হবে।
জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে এক সভায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ইএফটিতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইএফটিতে এমপিওর টাকা দিতে শিক্ষকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। ৯ ধরণের তথ্য সংগ্রহ করে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের।
ইএফটিতে বেতন পেতে শিক্ষকদের যেসব তথ্য লাগবে তা হল, জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর, এসএসসির সনদ অনুযায়ী শিক্ষকদের নাম-এক্ষেত্রে শিক্ষাসনদ, এমপিও শিট ও জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের বানান একই হতে হবে। কর্মচারীদের সর্বশেষ শিক্ষাসনদের নাম, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ নামের ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর, ব্যাংক হিসাব নম্বর (১৩-১৭ ডিজিটের), শিক্ষক কর্মচারীদের জন্মতারিখ, বেতন কোড ও বেতনের ধাপ এবং শিক্ষক কর্মচারীদের মোবাইল নম্বর। এদিকে শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইএফটিতে বেতন প্রক্রিয়া নানাভাবে বিলম্বিত করার জন্য নানা ফন্দি করার অভিযোগ উঠেছে।
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনও ইএফটিতে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রক্রিয়াটি করতে গিয়ে ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও অধিদপ্তর এ জন্য লেনদেন না করতে শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।