মার্চ মাসে ইএফটিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মার্চ মাসে ফেব্রুয়ারির এমপিওর টাকা ইএফটির মাধ্যমে পাঠানো হবে। আর এজন্য শিক্ষকদের জন্য ইএফটির ফরম প্রস্তুত করা হয়েছে। দুএকদিনের মধ্যেই এ ফরম প্রকাশ করা হবে। ফরম প্রকাশ করে তা পূরণের নির্দেশনা দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মার্চ মাসের শুরুতে ফেব্রুয়ারির এমপিও শিক্ষকদের ইএফটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । এ লক্ষ্যে ওয়েবসাইটে ইএফটি ফরম প্রকাশ করা হবে। ফরমটি প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই সে ফরম প্রকাশ করা হবে। শিক্ষকরা নিজেরাই তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে সে ফরম পূরণ করবেন। আশা করছি, ফেব্রুয়ারির এমপিও মার্চ মাসে শিক্ষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো সম্ভব হবে।তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের ফরমপূরণে কোন ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। তাদের শুধু ছবি স্ক্যান করে সংযুক্ত করতে হবে। শিক্ষকদের অন্যান্য তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষকদের তথ্য সার্ভার থেকে সংগ্রহ করা হবে।
জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে এক সভায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ইএফটিতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইএফটিতে এমপিওর টাকা দিতে শিক্ষকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। ৯ ধরণের তথ্য সংগ্রহ করে প্রস্তুত থাকতে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক কর্মচারীদের।
ইএফটিতে বেতন পেতে শিক্ষকদের যেসব তথ্য লাগবে তা হল, জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর, এসএসসির সনদ অনুযায়ী শিক্ষকদের নাম-এক্ষেত্রে শিক্ষাসনদ, এমপিও শিট ও জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের বানান একই হতে হবে। কর্মচারীদের সর্বশেষ শিক্ষাসনদের নাম, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ নামের ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর, ব্যাংক হিসাব নম্বর (১৩-১৭ ডিজিটের), শিক্ষক কর্মচারীদের জন্মতারিখ, বেতন কোড ও বেতনের ধাপ এবং শিক্ষক কর্মচারীদের মোবাইল নম্বর।
অধিদপ্তর বলছে, সব তথ্য সঠিক না থাকলে এমপিও টাকা শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে জমা হবে না। এসব তথ্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের মধ্যেমে অনলাইনে সংগ্রহের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ইএমআইএস সেলের লিংকসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে। এসব তথ্যগুলো সংগ্রহ করে শিক্ষকদের প্রস্তুত থাকতে শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইএফটিতে বেতন প্রক্রিয়া নানাভাবে বিলম্বিত করার জন্য নানা ফন্দি করার অভিযোগ উঠেছে।
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনও ইএফটিতে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রক্রিয়াটি করতে গিয়ে ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।