অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে নগরীর কাশিপুরস্থ ইনফ্রা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ফি না নেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু পলিটেকনিকের হিসাব শাখায় কর্মরতরা কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানালে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে পলিটেকনিকের পরিচালক আমির হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, করোনাকালীন তারা সেমিস্টার ফির টাকা ৫০ ভাগ কমানোর দাবি তুললেও কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। এছাড়াও করোনায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও নামেমাত্র অনলাইন ক্লাসের দোহাই দিয়ে বর্তমানে টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলেন করোনার কারণে তাদের পরিবারের আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অবহিত করা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করছেন না। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নাম রোল নম্বর নিয়ে পরবর্তীতে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
এদিকে বরিশাল ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ না করলেও ৯০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন বন্ধ ও কর্মচারীদের ছাঁটাই করায় তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এবিষয়ে একাধিকবার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষক। চেয়ারম্যান ইমরান চৌধুরী ও অধ্যক্ষ এম এ রহিম বেতন দেওয়ার অনুমতি দিলেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন আবেদনে স্বাক্ষর না করায় কেউ বেতন পাচ্ছেন না। পরিচালকরা একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির ৩ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মালিক ও অধ্যক্ষকে কোণঠাঁসা করে শিক্ষকদের কম বেতনে নিয়োগ ও প্রকৃত খরচের চেয়ে ভাউচারে বেশি দেখানো এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি ও সেশন ফির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ইনফ্রা পলিটেকনিকের পরিচালক আমির হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের টাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন করা হয়। সেমিস্টার ফি মওকুফের বিষয়ে এ মুহূর্তে একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করা হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. ইমরান চৌধুরী জানান, আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং বোর্ড নির্ধারিত ফি গ্রহণের পক্ষে। কিন্তু পরিচালক আমির হোসেন অতিরিক্ত ফি গ্রহণ করতে অধ্যক্ষকে বাধ্য করেন।