ইবতেদায়ি মাদরাসা সরকারিকরণের দাবি মেনে নিন : ন্যাপ - দৈনিকশিক্ষা

ইবতেদায়ি মাদরাসা সরকারিকরণের দাবি মেনে নিন : ন্যাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে সরকারিকরণসহ আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাত দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।  একই সাথে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের প্রতি ‘বিমাতাসূলভ’ আচরণ বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান সংগঠনে চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারিকরণ করার পরও রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে সরকারি করছে না সরকার। রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত মাদরাসার বহু শিক্ষক ৩০-৩৫ বছর যাবৎ বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। বেতন-ভাতা ছাড়াই অনেকেরই চাকরি জীবনের সমাপ্তি হয়ে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত অমানবিক। 

নেতারা আরও বলেন, শীতের মধ্যে ১০ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সমানে রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে অবস্থানরত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকার কোন কর্ণপাত করছে না যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। তিন যুগ ধরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা কেউ বিনা বেতন আবার কেউ সামান্য বেতনে শিক্ষাসেবা অব্যাহত রেখেছে। বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু অসহায় শিক্ষকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই শিক্ষকরা রাজপথে নেমে এসেছে। 

প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেতারা আরও বলেন, শিক্ষকরা বাধ্য হয়েই রাজপথে নেমে এসেছে। তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের সম্মানের সাথে ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন। 

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির আয়োজনে চলমান অবস্থান ধর্মঘটের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে নতারা আরও বলেন, শিক্ষকরা জাতীর সম্পদ। তাদের স্নেহ-মমতায় শিক্ষার্থীরা আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠে। শিক্ষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন না করলে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। 

বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে স্বীকৃতপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে সরকারিকরণসহ ৭ দফা দাবি মেনে নেয়ার এবং আন্দোলনরত ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে ঘরে ফিরে গিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করতে পারে তার ব্যবস্থা করার জন্যে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041530132293701