দুই লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফার্মেসি বিভাগে ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। শিডিউলে ল্যাবটি স্থাপনে আখতার গ্রুপের পণ্য ব্যবহারের কথা থাকলেও সেখানে নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্নমানের লোকাল পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অফিস।
তথ্য মতে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ল্যাব স্থাপনের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে দেয়া হয় আখতার গ্রুপকে। ল্যাবটি স্থাপনে বাজেট ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯৫ হাজার টাকা। শিডিউল অনুযায়ী এ কাজে আখতার গ্রুপকে তাদের নিজস্ব পণ্য ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে শিডিউলের নির্দেশনা অমান্য করে নিম্নমানের লোকাল পণ্য দিয়ে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আখতার গ্রুপের পণ্য দিয়ে ল্যাবটির কাজ করার কথা থাকলেও ল্যাবের কাজে ব্যবহৃত ল্যামিনেশন বোর্ড ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোতে আখতার ফার্নিচারের কোনো নির্দিষ্ট লোগো বা স্টিাকার পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বোর্ডের অ্যাডজাস্টমেন্টের কাজে ব্যবহৃত আঠাগুলোও নিম্নমানের বলে জানা গেছে। ল্যাবের কাজ সম্পাদনা আখতার গ্রুপের নির্দিষ্ট কর্মীদের দ্বারা করার কথা থাকলেও কুষ্টিয়ার লোকাল মিস্ত্রি দ্বারা কাজটি করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অর্ঘ্য প্রসূন সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরাসরি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি করছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে পরে আমি জানতে পারলাম লোকাল পণ্য দিয়ে কাজটি করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি সহিদ উদ্দীন মো. তারেক মুঠোফোনে জানান, আখতার গ্রুপের সঙ্গে কাজটির ব্যাপারে চুক্তি হয়েছিল। শিডিউল অনুযায়ী ল্যাবের কাজ করতে গেলে বাজেটের চেয়ে বেশি খরচ হবে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা লোকাল পণ্য ব্যবহার করছে।
এদিকে পরদিন তার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কাজের শিডিউল অনুযায়ী আখতার ফার্নিচারের নিজস্ব পণ্য দিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে দেখব। এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।