খুলনার ফুলতলা উপজেলার এমএম কলেজের ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহান (২০) হত্যার ঘটনায় তাছিন মোড়ল (২২) ও সাব্বির ফরাজী (২৩) নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার ঢাকার আশুলিয়া থানার গাজীরচট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিরাসহ কয়েকজন মিলে একটি স্কুলের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ইভ টিজিং ও হট্টগোল করায় অন্য ছেলেদের নিয়ে তার প্রতিবাদ করেছিলেন রোহান। পরে তাঁকে শায়েস্তা করতে অন্য কলেজের ছাত্র শান্ত গাজী, তাছিন মোড়ল, সাব্বির মিলে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
মুক্তা ধর বলেন, খুলনার এমএম কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ আলিফ রোহান ফুলতলা উপজেলার পায়গ্রাম কসবার সৈয়দ আবু তাহেরের ছেলে। গত ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় কলেজ মাঠে তাঁকে হত্যা করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ঘটনার পরদিন রোহানের বাবা সৈয়দ আবু তাহের বাদী হয়ে তাছিন মোড়ল, সাব্বির ফারাজীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরো চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে ফুলতলা থানায় মামলা করেন।
ঘটনার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ৩ এপ্রিল এমএম কলেজের সামনে খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মুক্তা ধর বলেন, হত্যার ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে সিআইডির এলআইসি শাখা তদন্ত শুরু করে। সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র তাছিন মোড়ল, সাব্বির ফরাজীসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন গাজীরচট এলাকা থেকে তাছিন মোড়ল ও সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
মুক্তা ধর বলেন, রোহানের বাড়ির পাশে পায়গ্রাম ‘রহমানিয়া এলিমেন্টারি স্কুল’ নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ অনুষ্ঠানে হট্টগোল করতে থাকেন তাছিন-সাব্বিররা। রোহান অন্য ছেলেদের নিয়ে তার প্রতিবাদ করেন।