নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজসহ তিনটি কলেজের ফরম পূরণের প্যানেল স্থগিত করেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। ফলে এই কলেজ থেকে কেউ অভিযুক্ত কলেজগুলো থেকে এইচএসসির ফরম পূরণ করতে পারবে না। বোর্ড নিয়ন্ত্রিত একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এবারের ফরম ফিলাপের সবকিছু করা হচ্ছে।
১২ আগস্ট সকালেই তাদের প্যানেল স্থগিত করা হলে অভিযুক্ত কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা বোর্ড অফিসে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও কাজ হয়নি। বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, অতিরিক্ত ফি ফেরত দিতে হবে এবং পরীক্ষার্থীরা সাক্ষ্য দেয়ার পরই কেবল মুক্তি মিলবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজ, উত্তরা আনোয়ারা গালর্স কলেজ ও নরসিংদীর পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের প্যানেল স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়ার পর আরো কয়েকটি কলেজের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে।
১১ আগস্টেই টাকা আদায় শুরু করে ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজ। ১২ আগস্ট সকালেই অভিযোগ করেন ৫ জন পরীক্ষার্থী।
অভিযোগের বিষয়ে ইমপেরিয়াল কলেজের কেউ কথা বলতে রাজী হননি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে বোর্ড থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি ও ২৪ মাসের বেশি বেতন আদায় করতে পারবেনা কলেজগুলো। এ বিষয়ে কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কলেজের ফরম পূরণের প্যানেল তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড বলছে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ বোর্ড নির্ধারিত ফি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ২৪ মাসের বেশি (২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন) বেতন আদায় করা যাবে না। ফরম পূরণের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কলেজে আসতে বলা যাবে না।
বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়েছে।