ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও ২২ দিন ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুদ এবং ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময়ে জেলেদের ইলিশ শিকার থেকে বিরত রাখতে সরকারের প্রণোদনার চাল সঠিক সময় বিতরণ ও এনজিওর কিস্তি বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে ভোলার জেলেরা।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে মা ইলিশ যাতে অবাধে ডিম ছাড়তে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভোলার জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে। ভোলার জেলেরা জানিয়েছে, তারা নিষেধাজ্ঞা মেনে ইলিশ শিকার বন্ধ রাখবেন। ভোলার ৭ উপজেলার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৪ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত জেলেদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ এবং এনজিওর কিস্তি বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভোলার তুলাতুলি মৎস্য ঘাটের জেলে মো. মমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রত্যেকবারই সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যা সাহায্য সহযোগিতা করা হয়, কোনো অভিযানের সময় তারা ঠিকমতো পান না। এবছর যেন তারা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সরকারের প্রণোদনা পায় সেই দাবি জানান তিনি।
জেলে মনজুর রহমান বলেন, এনজিওর কিস্তি বন্ধ না করলে নিষেধাজ্ঞা পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই এ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখা জরুরি।
ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ জানিয়েছেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তিনি বলেন, জেলেদের নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকার থেকে বিরত রাখতে ভোলার ১ লাখ ৩২ হাজার জেলেকে প্রণোদনা হিসেবে জনপ্রতি ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এরপরও যে জেলে আইন অমান্য করে মাছ শিকার করবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।