প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি অভিভাবকদের পছন্দ যে কোনো মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রদানের সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পরিষদের সভাপতি প্রবীন শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ঢাকা মহানগরী শাখার সভাপতি এম এ সিদ্দিক মিয়া নতুন পদ্ধতিকে স্বাগত জানান।
নেতারা বলেন, অতীতে বেসরকারি শিওরক্যাশ ও নগদ-এর মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করায় অভিভাবকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেক জায়গায় টাকা পাননি অভিভাবকরা, প্রতারকরা টাকা নিয়ে যাওয়ায় অভিভাবকদের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়সহ যে কোনো মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সুযোগ পাবেন অভিভাবকরা।
গণমাধ্যমে পাঠোনো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তৃণমূলের অস্বচ্ছল, শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতকরণে হয়রানিমুক্ত উপবৃত্তি সবার প্রত্যাশা। নতুন সিদ্ধান্তে উপবৃত্তির উপকারভোগীরা উপকৃত হবেন।
নেতারা প্রাথমিকে হয়রানিমুক্ত উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু করার জন্য শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় কোটি প্রাথমিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি বিতরণের দায়িত্ব নির্দিষ্ট কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের হাতে রাখেনি সরকার। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অভিভাবকের বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়সহ যেকোনো বৈধ ও সক্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ করা যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নও শুরু করেছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে জিটুপি পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হবে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মা, বাবা ও বৈধ অভিভাবকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নিজ নিজ সক্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবেন।