করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঋণের কিস্তি সাময়িক স্থগিতের আবেদন জানিয়ে ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পূর্বধলা উপজেলা শাখা অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিইও) বরাবর চিঠিটি পাঠান। বুধবার (২৯ এপ্রিল) নেত্রকোনার পূর্বধলা শাখা অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. মামুন হোসেনের হাতে চিঠিটি তুলে দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পূর্বধলা উপজেলা শাখার সভাপতি সুধাংশু শেখর তালুকদার ও সহ সভাপতি মো. বদরুজ্জামান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক ও দেওটুকোণ আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিউটন চন্দ্র সরকার, পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক শিক্ষার পূর্বধলা প্রতিনিধি মো. জায়েজুল ইসলাম প্রমুখ।
শিক্ষক নেতারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আর্থিকভাবে অনেকটা অস্বচ্ছল। তাদের পরিবার একমাত্র বেতনের টাকার উপরই নির্ভরশীল। তার উপর পরিবাবের জরুরি প্রয়োজেনে শিক্ষক-শিক্ষক কর্মচারীরা বেতনের বিপরীতে বিভিন্ন অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করেছেন। যা প্রতি মাসের বেতন থেকে কেটে নেয়া হয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল থেকে যা বেতন পেতেন তাও বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাইভেট বা টিউশনি করে বাড়তি আয় করার কোনো সুযোগ নেই। তাই বর্তমানে কিস্তির টাকা কেটে নিলে বাকি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় সংসার চালানো অসম্ভব। তাই শিক্ষকদের এই মানবিক দিক বিবেচনা করে ঋণের কিস্তি কর্তন বর্তমান এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সাময়িক স্থগিত রাখার আবেদন করছি।
জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংক পূর্বধলা শাখার মাধ্যমে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা মিলিয়ে উপজেলার ৫৭টি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০০জন নিজ বেতনের বিপরীতে পারিবারিক প্রয়োজনে বিভিন্ন অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করেছেন।