এইচএসসি-আলিম পরীক্ষার ফরম পূরণ যেভাবে - দৈনিকশিক্ষা

এইচএসসি-আলিম পরীক্ষার ফরম পূরণ যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার ফরম পূরণ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) শুরু হচ্ছে। আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব পরীক্ষার ফরম পূরণ চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে বসেই অনলাইনে পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে কলেজ-মাদরাসাগুলোকে। আর সোনালী ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। ইতোমধ্যে শিক্ষা বোর্ডগুলো ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। 

জানা গেছে, বুধবার (১১ আগস্ট) ঢাকা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্যতালিকা প্রকাশ করবে। ১২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীরা অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবেন। ফরম পূরণের এসএমএস পাওয়ার পর ৩০ আগস্টের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ফি জমা দিতে হবে।

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে বসে অনলাইনে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও ফি জমা দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে আসতে বলা যাবে না। প্রয়োজনে মোবাইলে ফোন করে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের বিষয় জানাতে হবে।

আরও পড়ুন আলিম পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু ১২ আগস্ট

করোনা অতিমারির কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। এ সংক্রান্ত কোন ফি আদায় করতে পারবে না কলেজ-মাদরাসাগুলো। কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনকরী শিক্ষার্থীরা এইচএসসি আলিম পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারবেন। নিয়মিত, অনিয়মিত, আংশিক বিষয়ে ফেল কার, শুধু আবশ্যিক বিষয়ে ফেল করা, প্রাইভেট পরীক্ষার্থী, জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থী সবাইকেই ফরম পূরণ করতে হবে। 

পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবক এ বছর সোনালী ব্যাংকের অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরে বসেই বোর্ড ফি, কেন্দ্রফি ও প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধ করবেন। ফি পরিশোধের বিস্তারিত প্রক্রিয়া নির্দেশিকা ঢাকা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে। শিক্ষার্থীরা সোনালী ব্যাংক বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের বিকাশ, নগদ, রকেট, শিউর ক্যাশ বা উপায়ের মধ্যেমে পরিশোধ করতে পারবেন।

এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্র প্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্র প্রতি ৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন এইচএসসির ফরম পূরণ ১২ আগস্ট শুরু

অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ১০০ টাকা রিটেনশন ফি দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদেরও ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা সনদ ফি দিতে হবে। 

এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাবদ প্রতি পরীক্ষার্থীকে ৩০০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য পত্র প্রতি ৫ টাকা ফি দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। ব্যবহারিক নোটবুক মূল্যায়ন ফি পত্রপ্রতি ৫ টাকা নিধারণ করা হয়েছে। 

ঢাকা বোর্ড জানিয়েছে, বোর্ড ফি ও কেন্দ্র ফি বাবদ বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মোট ১ হাজার ৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শাখার পরীক্ষার্থীদের ১ হাজার ৭০ টাকা মোট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।  

এদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, বোর্ড ফি ও কেন্দ্র ফিসহ বিজ্ঞান বিভাগের আলিম পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে ১ হাজার ১৩০ টাকা এবং সাধারণ ও মুজ্জাবিদ মাহির বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে ১ হাজার ৭০ টাকা ফি দিতে হবে। 

যদিও কলেজগুলো বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষার ফরমপূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে সরকার। প্রযুক্তির ব্যবহার করে ফরমপূরণের সফটওয়্যারের মধ্যেমে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা আদায় করা হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণের সফটওয়ারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্য উল্লেখ করবে। অপরদিকে বোর্ডের প্রাপ্য টাকার পরিমান সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করবে। এবার এইচএসসির ফরম পূরণ অনলাইনে করা হবে। পরীক্ষার্থীরা সোনালী সেবা ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফি জমা দেবে। ফি গ্রহণকারী ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো কলেজ ও বোর্ডের প্রাপ্য পাঠিয়ে দেবে। এতে করে কলেজগুলো অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে পারবে না বলে মনে করছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগামী ১২ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ফরম পূরণ হবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট কলেজ এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবকের সচল একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করবে। প্রতিষ্ঠান, বোর্ড ফি ও কেন্দ্র ফি সফটওয়্যারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেট করা থাকবে। প্রতিষ্ঠান তাদের প্রাপ্য টাকার হিসেব সফটওয়ারে এন্ট্রি করবে। তারপর পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকের নিবন্ধিত ফোন নম্বরে টাকার হিসেবসহ এসএমএস চলে যাবে। অভিভাবকরা সোনালী সেবা বা পাঁচটি মোবাইল ফিন্যন্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ফি জমা দেবেন। ফিয়ের টাকা গ্রহণকারী ব্যাংক বা সার্ভিসগুলো জমা নেবে। এরপর বোর্ডের প্রাপ্য টাকা বোর্ডকে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্যটাকা প্রতিষ্ঠানকে পাঠিয়ে দেবে। 

তিনি জানান, যেহেতু কেন্দ্রীয়ভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে তাই একটি হিসেব থাকছে। কেউ অতিরিক্ত ফি নিলে মোট কত টাকা ফি নিয়েছেন তা আমরা দেখতে পারবো। কেউ অভিযোগ দিলেও সেসব তথ্য সহজে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত ফি আদায় করতে পারবে না।  

বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো পরীক্ষার্থী যদি মনে করে, তার কাছে অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে সে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। সেখানে সমাধান না পেলে বোর্ডের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবে। তাৎক্ষণিক তা যাচাই-বাছাই করবে বোর্ড। প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ফরম পূরণের প্যানেল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বোর্ড।

এইচএসসির ফরম পূরণ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোল রুমের নিম্নোক্ত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। নম্বরগুলো হলো- ০২-৯৬৬৯৮১৫, ০২-৫৬৬১১০১৮১, ০২-৫৮৬১০২৪৮, ০১৬১০৭১১৩০৭, ০১৬২৫৬৩৮৫০৮, ০১৭২২৭৯৭৯৬৩।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল    SUBSCRIBE   করতে ক্লিক করুন।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035510063171387