শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করছে। তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ৫২ ভাষায় অনূদিত পিস এন্ড হারমোনি শীর্ষক ১৬ টি কাব্য সংকলনের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) করোনার সময়ে শিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শুধু একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দেননি, তিনি আমাদের দিয়েছেন আত্মপরিচয় ও ভাষার অধিকার। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সমুদ্র আইন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্র জয় করেছেন। ছিটমহল আইন বঙ্গবন্ধু করেন, আর শেখ হাসিনা এ সমস্যা সমাধান করেছেন। বঙ্গবন্ধু ভূউপগ্রহ কেন্দ্র করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছেন। পাকিস্তানের স্বৈরশাসকের অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিক তখনই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানের দোসররা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পিতৃহীন বাংলাদেশ ছিল সমুদ্রে ভাসমান নাবিকবিহীন জাহাজ। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল মৃত্যু উপত্যকায়। ঠিক তখনই ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে এসে আবার আশার আলো দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার এগিয়ে যেতে শুরু করে। বিশ্বে যখনই নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে আলোচনা হয় তখনই আলোচনায় চলে আসেন শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের নাম।
সাবেক সংস্কৃতি সচিব ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার কবি আজিজুর রহমান আজিজের সভাপতিত্বে এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের ড. আবুল আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উদযাপনে জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমেদ রেজাসহ অনেকে।